ধুসর প্রেম


প্রকাশের সময় : জুন ২, ২০২২, ১২:২০ অপরাহ্ণ / ৮১৫
ধুসর প্রেম

আফরিনা পারভীন

প্রচন্ড রকম আবেগী মানুষ আমি,

সব জেনেও কি ভালোবাসা যায়না?

আবেগী হলেও কথায় কথায় রাগ করবোনা,

হয়তো অভিমানে কিছুটা সময় চুপ থেকে

একটু পরেই এই আমিই

আবার সব ভুলে কাছে যাবো।

আমাকে কি খুব করে ভালোবাসা যায়না?

আমি চেয়ে থাকি অমানিশায়

নিদ্রাহীন বিভৎস কাল্পনিক সপ্নে।

বড় কোন সপ্ন নয় বরং

কুড়ো ঘরটায় ভরা থাকবে

মায়া আর ভালোবাসা।

না হয় একমুঠো ভাত ভাগ করে খাব-

দুদিন উপোষ থাকার পর।

তবুও কি ভালোবাসা যায়না ভীষণ রকম?

বুকের নিচে বালিশ চাপা দিয়ে যখন লিখবো

তুমি আমার ডান ঘাড়ে থুতুনি লাগিয়ে বলবে

“কি হলো কতটুকু আর, চলো শোবে।

রাজপ্রসাদে নয় মাটির ঘরে

একটা শীতলপাটি বিছিয়ে এক বালিশে দুজনে ঘুমোবো।

এভাবে কি ভালোবাসা যায়না?

খুব ধুমধামে ভয় পাই,

অনেক লোকের ভীঁড়ে

তোমা থেকে অনেকক্ষণ সরে থাকার ভয়।

ওসব এড়িয়ে চলবো দুজন।

মাঝে মাঝেই খেতে যাব

মামা হোটেলের দুপুরের খাবার অফারে,

ষাট টাকায় দুরকম ভর্তা ডাল

একটুকরো মাছ আর বেগুন ভাজি।

এক প্লেট হলেই চলতো তবুও দুটোই নেবো।

বেগুন ভাজি অপছন্দ আমার ভেবে

ভর্তা আর ভাজিতে দুজন অদল বদল করে নেবো।

লোকে দেখলো কিনা তাই এদিক ওদিক তাকিয়ে

দুজন হাসতে থাকবো তারপর বিকেলে দুজন হেঁটে বাড়ি ফিরবো,

হাত ধরে হেঁটে আসার আনন্দ আর তৃপ্তিতে

চোখে মুখে থাকবে দুজনার প্রচন্ড মায়া

আর ভালোবাসার লেপন যুক্ত হাঁসি,

এভাবে কি ভালোবাসা যায়না?

আমি গান শোনাবো তুমি কবিতা,

অথবা জীদ ধরেই বসবো

আজ আমাকে তোমার গান শোনাতে হবেই হবে।

তুমি জানো আমি নাছোড় বান্দা।

না,,,না,,,,বলতে বলতে শুরু করে

দিবে বেসুরো গান।

গান শেষে ভ্রু কূঁচকে বলবে ”

আগেই বলেছিলাম আমি ভাল

গাইতে পারিনা শুনলেনাতো?

আমি হাসতে থাকবো।

এভাবে কি ভালোবাসা যায়না?

রাতে যখন হিসেব খাতাটা নিয়ে বসবে

তোমার চশমা চোখ তাকিয়ে দেখবো আমি

প্রচন্ড রকম আদর দিবো গাল আঙিনায়

“হয়েছে আসো” বলেই হাত ধরে টেনে নেবো বালিশে।

অথবা তুমি লিখতে বসেছো কিংবা কিছু লিখছো,

আমি পেছন থেকে জড়িয়ে

আদর করবো যাতে ইচ্ছা করেই শু’তে আসো।

এভাবে কি ভালোবাসা যায়না?

যদি দুজনার একজনকে মৃত্যু কেড়ে নেয়

তবে কবরের পাশে ঘর বানিয়ে

একা মৃত্যুর প্রহর গুনবো।

আর তোমার স্মৃতি বুকে জড়িয়ে

তোমার কাছে যাবার প্রতীক্ষা করবো।

ওপারে আবার দেখা হবে দুজনার।

এভাবে কি ভালোবাসা যায়না?