একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ / ৩৫
একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 
স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল রানা
আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠান হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সমাবেশে ব্ক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরিকুল সুজন। সমাবেশ শেষে একটা মিছিল মতিঝিল গিয়ে শেষ হয়।
একতরফা ভোট ও তামাশার নির্বাচন  বর্জন-বয়কট করার আহবান জানিয়ে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষের ভোটাধিকার  হরণ করার নির্বাচনে কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে পারে না। বাংলাদেশেরে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি যদি সামান্য অঙ্গিকার থাকে তাহলে প্রহসনের ভোট আয়োজনে সহযোগীতা করার কোনো প্রশ্ন নেই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একদিকে এই অবৈধ সরকার জাতীয় পার্টিকে সংসদের মেকী বিরোধীদল বানানোর উদ্যোগ মঞ্চস্থ করছে। জাতীয় পার্টির অফিস ও জিএম কাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থার লোক দিয়ে ঘেরাও করে তাদেরকে ভিক্ষার সিট নিতে বাধ্য করা হয়। অন্যদিকে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ  মোট ৬৩ টি দল যারা নির্বাচন বয়কট করেছে। সরকারের অধীনে এই বিরোধীরা কোনো নির্বাচন করবে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মিছিল মিটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জনগণ মানে নি। এজন্য সরকার নানা অপকৌশল ও নানা নাশকতার আশ্রয় নিয়েছে। কাজেই এই অবৈধ সরকারকে সব দিক থেকে আমাদেরকে অসহযোগীতা করতে হবে। এদেরকে নির্বাচন বিষয়ে একটু আধটুও সমর্থন নয় এবং এদের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের বর্তমান কৌশলের কোনোকিছুকে জায়েজ করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নাশকতার পথে সরকার এমনভাবে আছে যে, ওদের আগুনে পোড়া মানুষ দরকার; ওরা এতই নিষ্ঠুর, নির্মম। সেজন্য ট্রেনের আগুন কিলোমিটারের পর কিলোমিটার গেলেও থামেনা। আর একারণেই আন্দোলন ও জনগণের বিরোধীতাকে দমন করার জন্য নাশকতার চাল চালছে সরকার।  জনগণের কাছে সরকারের এই চাল ধরা পড়েছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে, দিন বদলাবে। এই দেশের মানুষের কাছে জালেম সরকারের একদিন বিচার হবে। পরিবর্তন অবশ্যই আসবে বাংলাদেশে ।
নেতৃবেন্দ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে’ নিয়ে আর ব্যবসা ও কুটবুদ্ধির চাল দিলেও জনগণ পাত্তা দিবে না। অন্যকে আর কত রাজাকার বলবেন, আওয়ামী লীগে এখন পুরো দলের অর্ধেক রাজাকারে পরিণত হয়েছে। কাজেই মানুষ আর এই ‘চেতনাবাজি বুলি’ খাবে না। গণতন্ত্র মঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় দেশে লড়াই করে যাবে। দেশকে একদিন জনগণের রাষ্ট্র পরিণত করা হবে। আর ৭ তারিখে গণবিরোধী একতরফা নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ যাবে না। কেননা ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে ৬৩ টি দলের অনুপস্থিতি মানে হলো জনগণের অধিকাংশ দলগুলোই নির্বাচনে নাই। কাজেই মানুষ ভোট বয়কট ও বর্জন করেছে। দেশে তামাশার এই নির্বাচনকে জনগণ জায়েজ করবে না ও অনুমোদনও দিবে না।