বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির দাসত্ব ব্যবস্থা কখনোই  মেনে নেবে না: দুদু


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০২৪, ৯:৫২ অপরাহ্ণ / ৩২
বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির দাসত্ব ব্যবস্থা কখনোই  মেনে নেবে না: দুদু

নিজস্ব প্রতিনিধঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ মুসলমান হয়ে মুসলমানের বিরুদ্ধে গিয়েছে সেই দেশের মানুষ দিল্লির দাসত্ব মেনে নেবে এটা প্রত্যাশা করা ঠিক না। এদেশের মানুষ দিল্লির দাসত্ব কখনই মেনে নেবে না।শনিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, দীর্ঘদিন ধরে কোনো সরকার নেই, এর কৈফত কারো কাছে চাইবো তার উপায় নেই। ফিলিস্তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ ইজরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনি দখল করে নিয়েছে একইভাবে মনে হচ্ছে আমার বাংলাদেশে দখল করে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভোট দিতে পারে না। ভোট দেওয়ার কোনো পরিস্থিতি নেই।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানামুখি আলোচনা আছে দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে। বিশ্বের যেসব দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা নেই সেসব দেশ বাংলাদেশের তথাকথিত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের এই তথাকথিত সরকারকে অভিনন্দন জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে খুব দ্রুতই আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারও উদ্বিগ্ন তার চালচলন কথাবার্তায় বিশেষত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথা নিয়মিত শুনবেন দেখবেন তিনি ভীষণ উদ্বিগ্ন। ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া করি আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুন। কারণ অনেক কিছুই তিনি দেখতে পারবেন খুব শিগগিরই।

দুদু বলেন, এই দেশে এমন কোনো পণ্য আছে যার দাম ৩০০ থেকে ৪০০ গুণ বাড়েনি? একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেন বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন চালের দাম কত ছিল। তখন চালের দাম ছিল ১৬ টাকা কেজি। আর এখন কত? গরু, খাসির মাংস বর্তমানে কত আর তখন কত ছিল। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলের কথা বললে তো তখন মানুষ স্বর্গ সুখে বসবাস করত।বিএনপি এই নেতা বলেন, এই সরকারের মতো দুর্নীতিবাজ সরকার বাংলাদেশের মানুষ গত ১০০ বছরেও দেখেনি। ব্যাংকের কথায় ধরেন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক যে ব্যাংকে মানুষ টাকা রেখে নিশ্চিন্তে আছে। সার্বক্ষণিক মানুষ চিন্তা করে তার টাকা এই আছে এই নাই।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য। এই মুক্তিযুদ্ধের দেশে কেউ ডাকাতের মতো করে দখল করে নেবে এটা এ দেশের জনগণ কোনোদিনও মেনে নেবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব আছে মুক্তিযুদ্ধে প্রশ্ন। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্র হরণ করে নেবেন আর এ দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে এটা প্রত্যাশা করা ঠিক না। মুসলমান হয়ে মুসলমানের বিরুদ্ধে গিয়েছে এদেশের মানুষ শুধু স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য। সেই দেশের মানুষ দিল্লির দাসত্ব মেনে নেবে এটা প্রত্যাশা করা ঠিক না।

এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদেশের গণতন্ত্র স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসুন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নরুল হক নুর, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মোক্তার আখন্দ।