আজো আছো অন্তরে


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২২, ৮:০২ অপরাহ্ণ / ১৩৮
আজো আছো অন্তরে
 কবি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
র্স্মৃতির পাতায় বীরমুক্তিযুদ্ধা এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাস,
১৯৯৯ সাল ৮ মার্চ বীরমুক্তিযুদ্ধা এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাস নিজ বাড়ীতে পুকুরে সকাল ১১ টার সময় মাছ ধরতে ছিলো কাজের লোকজন কে সাথে নিয়ে। জনাব খোকন বিশ্বাস একজন নির্ভিক সাদাসিধা মানুষ ছিলো,এলাকার সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে তাঁর সু সম্পর্ক ছিল।তার গ্রামের বাড়ী ছিল কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ইশেলমারী পুটিমারী কুর্শা ইউনিয়নের অন্তগত। এলাকাতে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা খুব দাপটের সাথে চলাফেরা করত,জনাব এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাস তাদের এই সমস্ত অপকর্মের বিরোধ ছিল,এবং তাদের সাথে তারঁ অনেক বারই মতবিরোধ তৈরী হয়,সন্ত্রাসী আনোয়ার, ঝন্টু সহ তাদের নেতা নুরুজ্জামান লাল্টুর সাথেও এই সন্ত্রাসীরা ১৯৯৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারী ঐতিহাসিক কালিদাসপুর জাতীয় নেতা কাজী আরেফ আহমেদ সহ ৫ নেতা কে হত্যা করে।
ঠিক তার ২২ দিন পর ৮ মার্ ১৯৯৯ বীর মুক্তিযুদ্ধা এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাস কে সকাল ১১ টার সময় দিনের বেলায় শত শত মানুষের সামনে অস্রের ধরে মটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় লাল্টু বাহিনির লোকেরা যথাক্রমে আনোয়ার ঝন্টু উল্লেখ্ যগ্য। গ্রামের মানুষ তা স্বচোখে দেখে আলম ডাঙা থানা কাছাকাছি থাকলেও পুলিশ কোনই ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।
বীর মুক্তিযুদ্ধা এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাসের পরিবার অনেকের কাছে গিয়েছেন সেই সময় এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেও এগিয়ে আসে নি।জনাব খোকন বিশ্বাস কে সন্ত্রাসীরা হত্যাকরে লাল্টুর নিজ গ্রাম আঠারখাদা পুলতাডাঙা মাঠের ভিতর মাটির নিচে পুতে রাখে।পুলিশ কোনদিন লাল্টুর বা আনোয়ার ঝন্টুর বাড়ীতে যায় নি বীর মুক্তিযুদ্ধা এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাস কে কোথারাখা হয়েছে।নিহতের পরিবার অসহায়ের মত ঘুরেঘুরে ৭ মাস পর বিষেশ সুত্রে জানতে পারে আলমডাঙা থানার আঠারখাদা গ্রামের মাঠের ভিতর মাটির নিচে পুতে রাখা আছে। তখন পরিবারের ছেলেমেয়েরা থানা থেকে পুলিশ নিয়ে যেয়ে সেই মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে এবং নিজ বাড়ীতে এনে দাফন করেন, পুলিশ একটি হত্যা মামলা করেছিল কিন্তু সেই মামলাটি ২২ বছরে আজো আলোর মুখদেখি নাই।
যারা খুনী এরা আত্মস্বিকৃতি খুনি এলাকার নারী পুরুষ সবাই দেখেছে একজন ভদ্রমানুষ কে এরা ধরেনিয়ে যাচ্ছে,এরা তাজা মানুষকে ইটের ভাটায় পুড়িয়ে মেরেছে,শত শত মানুষকে এরা হত্যাকরেছে৷ মুক্তযুদ্ধের পক্ষের বাচাইকরা গুরুত্বপুর্ন মানুষদের এই চরমপন্থী স্বাধীনতা বিরোধীরা খুনকরে সাজটাকে তছনছ করছে, আইনের ফাকফোকর দিয়ে এরা বেরিয়ে এসে এখনও তারা বিরদর্পে বুকফুলিয়ে ঘুরেবেড়াই৷৷সেদিন আলমডাঙার বা মিরপুরের কোন নেতা বা দায়িত্ব শীল মানুষ কিন্তু এই পরিবারটার পাশে দাড়াই নি।জনাব এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাসকে কেন হত্যাকরা হয়েছিলো তার পরিবার আজও জানে না,বীরমুক্তিযুদ্ধা এসিদুর রহমান খোকন বিশ্বাসাসের একটি অপরাধ হতে পারে তিনি কোন সন্ত্রাসী বাহিনিকে চাঁদা দেন নি বা তাদের সাথে আপোষ করেন নি।
লাল্টু বাহিনির পাশাপাশি সিরাজ বাহিনি নামে একটি বাহিনি ছিলো তারাও মানুষ ধরে চাঁদানিত এবং চাঁদা নাপেলে হত্যা করত।সিরাজ বৃত্তর কুষ্টিয়া জেলা বি এল এফ এর উপপ্রধান সাবেক মিরপুর উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান গনমানুষের নেতা শহীদ মারফত আলীকে ডেকেনিয়ে কাপুরুষের মত নির্ম্মভাবে হত্যাকরে ১৯৯১ সালে ১৭ ফেব্রয়ারীতে। শহীদ এসিদুর রহমান কোন বাহিনিকেই আস্রয় দিতেন না এটাই ছিলো তাঁর অপরাধ। আজ ২২ বছর তারঁ হত্যাদিবস, একজন মুক্তিযুদ্ধার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।