কুষ্টিয়ার গর্ব


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ২:২০ অপরাহ্ণ / ১৩৮
কুষ্টিয়ার গর্ব
কুষ্টিয়ার গর্ব
বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল ও জাপান

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

বিচারপতি ড. রাধাবিনোদ পাল, জাপানের দুঃসুময়ে ভাঙ্গা তরীর ধরে ছিল হাল,
বাংলাদেশর অনেকই জানে না, কোথায় তার বসত ভিটা জন্ম মৃত্যু সাল।
১৯৩৭ সালে নানকিং চাইনিজদের লক্ষ্য লক্ষ্য মেরেছিলো,
অবাক বিশ্ব, কেউবা নিশ্ব্য, সকলেই বলে কি হতে কি হলো?
সেই ঘটনা কে কেন্দ্র করে, Flowers of war নামে তৈরি হলো মুভি,
সেই সময়ের রক্তের হোলিতে,কত প্রাণ এর হয়েছে বলি,
ডুবে গিয়েছে কারুর জীবন রবি।
শুধু এখানেই শেষ নয়, জাপানিরা মরেছে ও মেরেছে,
কোন নেশায় উন্মাদ ছিল তারা,কেন অযথা রক্ত ঝরছে।
কার জন্য জাপান রক্তের নেশা ছেড়ে, জাতী গঠনে মনোযগ দেয়,
বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল তখনও ছিল ন্যায়ের ভূমিকায়।
জাপানিরা চিরকৃতজ্ঞ আজ ও কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া একজন বাঙালির কাছে।
ভলেনি জাপান সব সময় আছে তাই বাংলাদেশের পাশে।
জাপানে প্রতিষ্ঠিত হলো বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল এর নামে মনোমেন্ট ও মেমোরিয়াল,
এই গুনী মানুষের প্রতি আমাদের আছে কি খেয়াল।
কুষ্টিয়ার নিজ গ্রামের স্কুল ও রাজশাহী কলেজের ছাত্র ছিলেন,
কর্মজীবনে তিনি ময়মনসিংহ আনান্দমহন কলেজের প্রভাষক হলেন।
এই মেধাবী বাঙালিকে, হয়তো বা কেউ  মনে রাখেনি,
হয়তোবা মনের চোখ দিয়ে আমারা কখনো দেখিনি।
জাপানের বিরুদ্ধে ৮০০পৃষ্ঠার রায়ের যুক্তিকে স্তব্ধ করে ছিল, বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল,
তিনিই জাপানের দুঃসুময়ে ভাঙ্গা তরীর ধরে ছিল হাল,
জাপানের স্কুলের পাঠ্য বইয়ে এক অধ্যায় আছে, বিচারপতি রাধাবিনোদ কে নিয়ে,
১৯৬৬ সালে সম্রাট হিরোহিত তাকে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করেন পারপুল রিবন দিয়ে।
জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাধাবিনোদ পালের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শীত হয়,
বাংলাদেশর প্রতী জাপানের ভালোবাসা দেখুন কারে কয়।
রাধা বিনোদ পালকে নিয়ে জাপান সরকার ৩০৯ পৃষ্ঠার বই প্রকাশ করে,
নিজের ঘরে আলো রেখে, খুঁজি মোরা অন্যের দ্বারে।
বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের পৃতৃভূমিতে জাপান হাসপাতাল করতে চাই,
হলোনা কিছুতেই হাসপাতাল সেখানে, মোদের দুঃখের শেষ নাই।
১৯৬৭ সালে ১০ই জানুয়ারি কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে,
এই গুনী মানুষের জন্ম হয়েছিল আমাদের কুষ্টিয়ার মিরপুরে।