পলাশী যুদ্ধের মুনাফিকদের শেষ পরিণতি”


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ২:২৪ অপরাহ্ণ / ৫৯৭
পলাশী যুদ্ধের মুনাফিকদের শেষ পরিণতি”
 মোঃ জাহাঙ্গীর আলম 
 মাত্র ২২ বছর বয়সে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে বসেন,
মুনাফিকরা ধীরে ধীরে ষড়যন্ত্রের অংক ঠিক সময়মতো কসেন।
           হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়!
১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সাথে ইংরেজদের যুদ্ধ শুরু হয়।
  যারা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সাথে করেছিল বেইমান তাদের ঘটল কি দশা,
তাদের এই জাতি আজ ধিক্কার জানাই গালি দেয়ার নেই কোন ভাষা।
ওরা ২০০ বছর পিছিয়ে দিল মোদের, যেন  হারালাম মুক্ত মনি,
মুনাফিকরা, কে কোথায় কিভাবে মরলো আসুন একটুখানি জানি!!!
   মীর জাফর তুমিও তো ভালো ছিলে না, মরলে কুষ্ঠ রোগে, তুমি ছিলেনা মানুষের আস্থায়,
মীর কাসেম তুমিও অনাহারে মরলে, ঘুরে দিল্লির রাস্তায় রাস্তায়।
  ঘসেটি বেগম, আমেনা বেগম, তাহাদের কে করলো? জলে ডুবিয়ে হত্যা,
প্রতিদিন মরছো বিবেকের দংশনে, জানি ভালো নেই তোমাদের আত্মা।
   খাদেম হোসেন তরাইয়ের পাহাড়ে মরল খাবার না পেয়ে,
আবার খুজা ওয়ায়েজ মরলো কোন কারনে বিষ খেয়ে।
   রবার্ট ক্লাইভ করল আত্মহত্যা ছিল তার মানবতার অভাব,
মোহাম্মদী বেগ পাগল হয়ে দিলো কুয়োর মধ্যে ঝাঁপ।
      উর্মি চাঁদের জীবন গেল জেলে পচে পচে,
দেখুন জাতির সাথে বেঈমানি করলে, থাকেনা কেউ বেশি দিন বেঁচে।
 মীরন তুমিও থাকলে না এই ভবে, মরলে বজ্রাঘাতে,
কি ছিলে, আর কি হলে, কি ঘটলো তোমাদের ললাটে?
    জগৎশেঠ, স্বরূপচাঁদ, তাঁরা গঙ্গার জলে ডুবলো,
রাম রাজত্ব করবে তারা এই ভেবেছিল।
     কৃষ্ণচন্দ্র, মুঙ্গের দুর্গে সপুত্র মরে অনাহারে,
  দেখুন সবাই বেঈমান এর পরিণতি বলে কাহারে।
রামনারায়ণ, রাজবল্লভ, কৃষ্ণদাস, গঙ্গা বক্ষে হলো নিক্ষেপ,
সুখে থাকতে ভূতে ধরলো, গেল না মোদের আক্ষেপ।
ওয়াটসন পড়লো মহাপাথারে, মহামারী নিলো গিলে,
ইস্কাটন এর জাহাজ তাও আবার ডুবল গহীন জলে।
    ওয়াটস পড়লো মনোরোগে, মরলো ভুগে ভুগে,
মানুষের ক্ষতি করলে কখনো থাকে না কেউ সুখে।
             ইয়ার লতিফ হলো গোপনে হত্যা,
          দানা শাহ কে দংশিলো বিষাক্ত সাপে,
ঘুনিয়ে আসলো আধার, চেপে ধরল ওই মুনাফিকদের পাপে।