বকশিশ এবং হয়রানির শিকার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক।


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ / ৪৯৮
বকশিশ এবং হয়রানির শিকার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক।
  • বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক আইনের চোখ, রংপুর।

উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল। রংপুর মেডিকেল কলেজ । প্রতিনিয়ত অভিযোগের সাগরে ভাসছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেটের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সকল রোগী এবং স্বজনদের পরতে হয় নানামুখী ভোগান্তিতে । রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানীর মহানায়ক হয়ে উঠেছেন তারা ।ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে রোগীর মৃত্যুর পরও কান্নায় দিশেহারা স্বজনদের গুণতে হয় বকশিশ নামের উৎকোচ। এখানকার কর্মচারী দালাল এবং বিভিন্ন পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ানো বকশিস সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যদের কাছে সবাই যেন জিম্মি। রোগীর স্বজনরা তো বটেই একই হাসপাতালের চিকিৎসক হয়েও এই হয়রানির শিকার হলেন অর্থ সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার এ বি এম রাশেদুল আমীর। বকশিশ চাওয়া এবং রোগী হয়রানি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

সেখানে রাসেদুল আমির অভিযোগ করেন গত ১৭ সেপ্টেম্বর তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন সজনরা । জরুরী বিভাগে ভর্তির জন্য ২৫০ টাকা দাবি করা হয় পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মা পরিচয় জানতে পারলে তারা ৫০ টাকা ভর্তি বাবদ নেন। যদিও হাসপাতালে নির্ধারিত ভর্তি ফি ২৫ টাকা এবং সরকারি কর্মকর্তার মা এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে ভর্তি ফি না নেওয়ার কথা । তিনি আরো অভিযোগ করেন ভর্তি পরবর্তী সি সি ইউতে তার অসুস্থ মাকে নেয়া হলে সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত দুজন জোরপূর্বক তার ব্যক্তিগত সহকারীর কাছ থেকে ২০০ টাকা বকশিশ নেন। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ বকশিশ ছাড়া সেবা পাওয়াই কঠিন এই হাসপাতালে। ঘটনার সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে বকশিশ ও হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন তারা।