পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন আবারো জেলা কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার করছেন


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ৩:০২ অপরাহ্ণ / ২১২
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন আবারো জেলা কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার করছেন

মাজহারুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ– পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী যোগদানের পর থেকে জেলার সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অপারেশন থিয়েটারগুলো চালু করেছেন। তাঁর সৃষ্টিশীল ভাবনা, সঠিক দিক নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে গর্ভপতি মা ও অন্যান্য অপারেশনে অব্যাহত প্রচেষ্টায় এসব পড়ে থাকা অপারেশন থিয়েটারগুলো আবার চালু করেন এবং তিনি নিজেই অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এজন্য তিনি জেলা সদর থেকে অবেদনবিদ নিয়ে এসে অপারেশন করছেন। শল্য চিকিৎসক ও অবেদনবিদের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে এসব অপারেশ থিয়েটার বন্ধ ছিল। পঞ্চগড় জেলার স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রসূতির অস্ত্রোপচারসহ (সিজার) অন্যান্য অপারেশনের পাশাপাশি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং চিকিৎসা সেবা গ্রহকারীদের সেবা প্রদানে নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এর আগে তিনি আটোয়ারী, দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি মায়ের অপারেশনসহ (সিজার) ছোট খাট অনেক রোগীর অপারেশন করেছেন। সম্প্রতি ১৮ সেপ্টেম্বর বোদায় পর পর দুটি প্রসুতি মায়ের অপারেশন সফল করেন।এসময় বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জনের এমন উদ্যোগে এলাকার সাধারণ মানুষ বিনা পয়সায় অপারেশন করাতে পেরে দারুন খুশি হয়েছেন।।বোদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সদ্য সিজার প্রাপ্ত রোগী সুমাইয়া আকতার সিমু(২৩) তার স্বামী ফাহাদ বিন হাবিব জানান, বোদা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে বিনা টাকায় সুন্দরভাবে অপারেশনে আমরা দারুন খুশি হয়েছি। সিভিল সার্জনের এই মহোতি উদ্যোগটি এলাকায় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, আমি সিভিল সার্জন হিসেবে পঞ্চগড়ে এসে দেখলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক ও অবেদনবিদের অভাবে অপারেশন থিয়েটারগুলো বন্ধ। প্রসূতির অস্ত্রোপচারসহ (সিজার) ছোটখাট অপারেশনগুলোও বন্ধ।

আমার যেহেতু শক্তি, সার্মথ্য আর ইচ্ছা আছে। তাই এটা শুরু করলাম। তিন উপজেলায় শুরু করেছি। তেঁতুলিয়াতে টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। সেখানেও শুরু করবো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অপারেশনের জন্য রোগী ঠিক করে রাখেন। আমি নির্ধারিত দিনে ও সময়ে জেলা সদর থেকে অবেদনবিদ নিয়ে নিয়ে অপারেশ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সকলের সহযোগিতা পেলে এটা অব্যাহত থাকবে।