ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলের ৯টি আসরের মধ্যে ৭টি শিরোপাই উঠেছে দু’জন অধিনায়কের হাতে। নিঃসন্দেহে এই দুই অধিনায়কই বিপিএলে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার মধ্যে একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অন্যজন ইমরুল কায়েস। কুমিল্লাকে তিনবার শিরোপা উপহার দিয়েছেন এই সফল অধিনায়ক।
অথচ, সেই ইমরুলই এবার বিপিএলে দল পাচ্ছিলেন না প্রায়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তো তাকে রিটেইন করেইনি, বরং ড্রাফটেও প্রায় তাকে উপেক্ষা করে যাচ্ছিলো। ইমরুলেরও ভাগ্য ভালো। ৬সেটে নাম ওঠানো হয়েছে তার। ৬ষ্ঠ সেটে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ইমরুলের ঠাঁই হলো আগের সেই কুমিল্লাতেই।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন ইমরুল কায়েস। এই ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের সম্মানি ৫০ লাখ টাকা করে। তালিকায় আরও ছিলেন- আফিফ হোসেন, ইবাদত হোসেন ও রনি তালুকদার। এর মধ্যে ইবাদত চোটের কারণে আসন্ন বিপিএলে খেলতে পারছেন না। আফিফ এবং রনিকে তো প্রথম ডাকেই নিয়ে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স এবং রংপুর রাইডার্স। কিন্তু ইমরুলই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছিলেন বারবার।
অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতলেও ব্যাট হাতে ইমরুলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। গত আসরে ১৪ ম্যাচে ১৬.৭৬ গড়ে মাত্র ২১৮ রান করেছিলেন এই বাঁ-হাতি। যে কারণে হয়তো, শুধুমাত্র অধিনায়ক ইমরুলকে কেউ নিতে চায়নি। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লাই তার প্রতি সদয় হলো। আরও একটি বিপিএল খেলার সুযোগ পাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার।
কুমিল্লা প্রতিবারের মতো এবারও শক্তিশালী দল গড়েছে। বিপিএলে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের দলে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনিল নারিন, রশিদ খান, মইন আলিদের মতো ক্রিকেটাররা।
আপনার মতামত লিখুন :