নড়াইলের ধোপাখোলা গ্রামের”ছোট অধিকারী”নামের এক নারীর ফসলীয় জমি জোর করে দখল করার প্রচেষ্টা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ৩:৩৮ অপরাহ্ণ / ১৫৯
নড়াইলের ধোপাখোলা গ্রামের”ছোট অধিকারী”নামের এক নারীর ফসলীয় জমি জোর করে দখল করার প্রচেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার মো ঃ মামুন মোল্যা :
নড়াইল জেলা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ধোপাখোলা গ্রামের দিলীপ অধিকারী’র সহধর্মিনী ছোট অধিকারীর জমি জোর করে দখল করার প্রচেষ্টা চলছে। জোরপূর্বক দখল করার জন্য “ছোট অধিকারী”র দেবর লংকেরস্বর অধিকারীসহ এলাকার চিহৃিত সন্ত্রাসীরা মেতে উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়”ছোট অধিকারীর স্বামী দিলীপ কুমার অধিকারী শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারনে স্ত্রীর অনুকূলে ১৮/০১/২০২৩ইং সাল তারিখে ৬৪নং দানপত্র দলিলমূলে রেজিস্ট্রী করিয়া দখল অর্পণ করেন। দলিল রেজিস্ট্রী পর থেকে দেবর লংকেরস্বর অধিকারী কিছু ভাড়াটিয়া গুণ্ডাপাণ্ডা নিয়া জোরপূর্বক ঘেরের উপর থাকা আমগাছ থেকে কয়েক মণ”আম”পাড়িয়া নিয়ে যায়।সেই সঙ্গে জমিতে থাকা”ধান”কাটিয়া নিয়া যাবে বলে হুমকি প্রদান করে।ছোট অধিকারী তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য ৪জনকে আসামী করেন ১৯/০৪/২০২৩ইং তারিখে এবং নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন।ডায়রী নং-৮৪৮ এদিকে লংকেরস্বর অধিকারী জোর করে জমিতে অনুপ্রবেশ না করতে পারে সেজন্য মোকাম বিজ্ঞ আমলী আদালত নড়াইলে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন,মামলা নং-৫৮/২০২৩ লংকেরস্বর অধিকারীকে বিবাদী  করে একটি মামলা দায়ের করেন।তবে ছোট অধিকারী মামলা দায়ের পর থেকেই তার নিজ নামীয় সম্পত্তি দখল করিয়া নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে লংকেরস্বর অধিকারী। সূত্রে অনুযায়ী জানা যায় যে লংকেরস্বর অধিকারী ২৫থেকে ৩০বছর যাবত ভারতে লংকেরস্বর বিশ্বাস(দিপংকর)পিতা-বিমল,পোষ্ট-পিপরোদা উবারী,থানা-খানিয়াদানা,জেলা-গবালিয়ার-ভোপালমধ্য প্রদেশ বসবাস করেন এবং সে ভারতীয় নাগরিক বলে জানা যায়।ইতিপূর্বে ছোট অধিকারীর মেয়ে টুম্পা অধিকারী জমিতে গেলে একা পেয়ে তাকে জোরপূর্বক গলা চেপে ধরে মুখের ভিতর বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে হরিচাঁদ বিশ্বাস এর ছেলে পার্থ বিশ্বাস।টুম্পা অধিকারী চিৎকার করলে তার বাবা মা ঘটনাস্থলে পৌছাঁইলে পার্থ বিশ্বাস পালিয়ে যায়,এদিকে টুম্পা তার বাবা মাকে বলে আমাকে জোর করে পার্থ বিশ্বাস মুখের ভিতরে বিষ ঢেলে দিয়েছে আমাকে বাচাঁও বলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।ঘটনাস্থল থেকে টুম্পাকে তার বাবা মা চোখের জল ফেলে দ্রুত গাড়ীযোগে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ২দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর টুম্পা অধিকারী সুস্থ হয়ে ওঠেন।ঘটনার তারিখ ১৯/৩/২০২৩ইং সাল।এ ঘটনার কিছুদিন পর ঘেরের ভিতর হাউজে সংরক্ষিত থাকা”চারা মাছ” বিষ দিয়ে মেরে ফেলে।আদালতে নালিশী জমির দাগ ও খতিয়ান ৬০নং ধোপাখোলা মৌজার এস এ খতিয়ান ৫৪,১৭,৬ আর এস খতিয়ান-৭১ সাবেক দাগ-১৭,২১,১৮৭,১৯৪,১২০ আর এস দাগ-৪১,৫৭,২০৫,২১৬,২১৭,৩৬৫ জমির পরিমান ১ একর ৩২ শতক।
অনুসন্ধানে জানা যায় ০৭/০৩/২০২৩ ইং তারিখে লংকেরস্বর অধিকারী তার মাকে “ছোট অধিকারীর বাড়ীর ভিতর ঢুকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে মারপিট করে এবং বলে তোর বড়ছেলে দিলীপ অধিকারীকে বলে আমাকে সম্পত্তি লিখে দিতে।তা না হলে তোর বড় ছেলে সহ তোকে চিরদিনের জন্য পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবো একথা বলে চলে যায়।বৃদ্ধা মা আলতি অধিকারী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে,ভর্তির তারিখ ০৮/০৩/২০২৩ইং বৃদ্ধা মা আলতি অধিকারী নড়াইল মোকাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে বাদী হয়ে ছেলে লংকেরস্বর অধিকারীর নামে একটি”সিআর”মামলা দায়ের করেন।মামলার তথ্যে বিবরণীতে দেখা যায় আসামী ঠক,প্রতারক,আইন শৃঙ্খলা ভংগকারী,ভবঘুরে,বখাটে,মাদকাসক্ত ভয়ংকর প্রকৃতির লোক।মা আলতি অধিকারী ছোট ছেলে লংকেরস্বর অধিকারীকে মা আলতি অধিকারী তার বাপের ভিটা বিক্রি করিয়া ও ভাই দিলীপ অধিকারী গোয়ালের গরু এবং ফসলীয় জমি বিক্রয় করিয়া ৩২লক্ষ টাকা দেয়।লংকেরস্বর টাকা পেয়ে ভারতে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ী তৈরি করে  স্হায়ীভাবে বসবাস করছেন।তবে ঘটনার কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশে আসেন।বাংলাদেশে এসে”মা বাদীনির”বড় ছেলে দিলীপ অধিকারীর নিকট আরও টাকার দাবী করেন লংকেরস্বর।
এ বিষয়টি নিয়ে বৃদ্ধা মা প্রতিবাদ করায় মা আলতি অধিকারীকে খুন করার জন্য আক্রমন করেন।মা আলতি অধিকারীর মামলাটি মহামান্য আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় ছোট অধিকারীর পরিবারের জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নিরাপত্তার জন্য আদালতে দারস্থ হয়েছে।পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা নেই যে কোন সময় বখাটে লংকেরস্বর অধিকারী পরিবারের উপর হামলা করতে পারে বলে মন্তব্য করেন।