কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ৩:১৯ অপরাহ্ণ / ৩৩৮
কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি। ভেঙে পড়া সেতুটি পুনর্নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে এ পথের যাত্রী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।

নবগঙ্গা নদীর উত্তরে চোরখালী, জয়পুর আর ছাতড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১ নম্বর ওয়ার্ড। নদীর দক্ষিণে কচুবাড়িয়া, রামপুর, শিংগা আর মশাঘুনি নিয়ে গঠিত পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভার পশ্চিম এলাকার জনগণের যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ উত্তরের চোরখালি আর দক্ষিণের কচুবাড়ীয়া গ্রামের নদীর ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। তবে একযুগে পরও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। তারপরও সাধারণ মানুষ হেঁটে যাতায়াত করতে পারছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে বালু ব্যবসায়ীরা তাদের ড্রেজার পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আনার ব্যবস্থা করতে গিয়ে সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে ফেলে রাতের আঁধারে। এরপর থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা।

কচুবাড়িয়া গ্রামের শ্যাম সুন্দর পাল বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত মোরামত করে দিলে সময়ও বাঁচবে, আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাবো।

ধোপাদাহ গ্রামের জাহিদুল হক বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা ওপারে মাদরাসায় পড়ে। তারা এখন ঠিকমতো মাদরাসায় যেতে পারছে না। আমি ঠিকমতো নড়াইল সদর হাসপাতাল ও কোর্টে যেতে পারছি না। এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছে একঘণ্টা। তারপর আবার সময়মতো গাড়ি পাওয়া যায় না। সেতুটি আমাদের খুবই জরুরি।

লোহাগড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল আইনের চোখ কে  বলেন, নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি প্রায় তিন মাস আগে ড্রেজারের ধাক্কায় ভেঙে যায়। এতে জনগণের পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি ও পৌরমেয়র সেতুটি পরির্দশন করেছি। সেতুটি মেরামতের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে এ মুহূর্তে মেরামতের কথা ভাবছেন না। সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।