৪০ বিঘা জমির ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দিল প্রতিপক্ষ


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৬, ২০২২, ৯:৫০ অপরাহ্ণ / ১২২
৪০ বিঘা জমির ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দিল প্রতিপক্ষ

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ  পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মালচন্ডি গোয়াল বৈরাগী ঘাটের পশ্চিমে এবং সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের পূর্ব পার্শ্বে নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চরের মধ্যে জমি নিয়ে দুই পক্ষের দন্দের একপর্যায়ে ৪০ বিঘা জমির ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দিয়েছে প্রতিপক্ষ আব্দুর রশিদ গং। দুই পাশে নদী মাঝখানে জেগে ওঠা চরের মধ্যে আবাদ করতো পূর্ব-পুরুষেরা দীর্ঘ ৫০ বছরের ও বেশি সময় নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত সোনাহার মালচন্ডির হতদরিদ্র ২০/৩০ জন কৃষক ।

 

প্রতিবারের মতো চলতি সিজনে উক্ত চরের মধ্যে ১৮/২০ জন কৃষক আনুমানিক ৫০/৬০ বিঘা জমিতে রোপণ করেছিলেন আলু,পিঁয়াজ, ভুট্রা,ফুলকপি, পাতাকপি, লাউ, মিষ্টিকুমরা সহ বিভিন্ন ফসল, এর হঠাৎ উক্ত চরের জমির মালিকানা দাবি করে এবং তাদের কাছে জমির কাগজ ও কোর্টের রায় আছে মর্মে উক্ত চরের মধ্যে চাষাবাদ করা সাল ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দিয়ে আবাদি-অনাবাদি বালুর চর সহ প্রায় আনুমানিক ১০০ বিঘা দখল করে নেয় আব্দুর রশিদ গং। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক দের সাথে কথা বললে তারা জানায় “গত ২৪-১১-২২ ইং তারিখে হঠাৎ দেখি ৮/১০ টা মহেন্দ্র ট্রলি গাড়িতে প্রায় দুই-আড়াইশত গুন্ডা বাহিনী দা-ছুড়ি-লাঠি-তীর বল্লম সহ একসাথে আমাদের চরের মধ্যে আসে এবং আমাদের কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে আমরা প্রাণভয়ে দৌড়ে নদী পার হয়ে চলে আসি, এবং তৎক্ষনাৎ আমাদের কষ্টের ফসলগুলির উপর দিয়ে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দেওয়া শুরু করে, তারা যখন আমাদের কষ্টের কচি পিঁয়াজ, ও ফুলকপি সহ সকল ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দিচ্ছিল তখন আমাদের মনে হয়েছিল তারা ক্ষেতে নয় আমাদের কলিজার ভিতরে চাষ দিচ্ছে

” কৃষক দের জিজ্ঞেস করা হয় তারা হঠাৎ এভাবে আপনাদের ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দেওয়ার কারণ কি, ভুক্তভোগী কৃষক গণ জানায় ”

আমরা দীর্ঘদিন যাবত শুনে আসছি ঐ জমি নিয়ে মামলা -মোকদ্দমা চলছে দুই পক্ষের মধ্যে যেই পক্ষ ই জমির মালিক হোক না কেন তারা আমাদের ফসল নষ্ট না করলো কেন আমরা এর প্রতিকার চাই। জমি দখল করার বিষয়ে আব্দুর রশিদ গং দের সাথে কথা হলে তিনি মন্তব্য করেন উক্ত চরের জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি আমাদের কাছে জমির কাগজ আছে এবং কোর্টের রায় আছে মর্মে আমি আমার জমি দখল করেছি এখানে কার কি ক্ষতি সেটা আমার দেখার বিষয় না।

 

এই বিষয়ে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দর্শীদের মন্তব্য জানতে চাইলে এলাকাবাসী সকলেই জানায় উক্ত চরের জমি দীর্ঘ ৫০/৬০ বছরের বেশি সময় নিয়ে এই কৃষক গণ তাদের পূর্ব পুরুষ দের আমল থেকেই আবাদ করে আসছে কিন্তু এর মধ্যে উক্ত জমির মালিকানা নিয়ে রশিদ গং দের সাথে মামলা-মোকদ্দমা চলছে এবং কে রায় পেয়েছে সেই বিষয়ে এলাকায় কেউ জানে না তবে জমি যদিও রশিদ গং পেয়ে থাকেন তবুও এইভাবে ফসলের উপরে মাহিন্দ্র দিয়ে চাষ দেওয়া ঠিক হয় নি,এতে করে এই ১৮/২০ টি হতদরিদ্র কৃষক পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।