সিল মারামারির নির্বাচন চাই না,ইভিএম চাইঃওবায়দুল কাদের


প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৫, ২০২২, ২:৫৫ অপরাহ্ণ / ১৬০
সিল মারামারির নির্বাচন চাই না,ইভিএম চাইঃওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিল মারামারির নির্বাচন চাই না, সে জন্যই ইভিএম চাই। কাদের বলেছেন, ‘যারা সিল মারামারির নির্বাচনে অভ্যস্ত, যারা নির্বাচন বলতে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা বোঝে, নির্বাচন বলতে ভোট কারচুপি বোঝে, ভোট জালিয়াতি বোঝে, তারা ইভিএমকে সমর্থন করে না। আমি বিএনপির কথাই বলছি।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর এ ব্লকের অডিটরিয়ামে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএসএমএমইউ শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের ভোটেই সরকার পরিবর্তন হবে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছি। সামনে আবারও জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে চাই।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত না করলে আমরা বিদায় নেব। আমরা কারও দয়ায় বা নির্বাচন কমিশনের ইভিএম দিয়েছে—এসব দেখে আমরা রাজনীতি করি না।’

এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব সরকার পরিবর্তন যদি চান, সোজাসুজি কথা হলো, পরিষ্কার বক্তব্য হলো নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের পরীক্ষামূলকভাবে অনেকগুলো নির্বাচন এই ইভিএমে হয়েছে। এগুলো কি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল? বলুন? সিটি কর্পোরেশনগুলোতেও হয়েছে, সিলেটে হয়েছে, বরিশালে হয়েছে, কুমিল্লাতে হয়েছে। কেউ কি কোনো প্রশ্ন করেছে? আমরা জালিয়াতিমুক্ত কারচুপিমুক্ত।

বিএনপির মনে আসলে কী, তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা একদিকে বলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে আসবে না, আবার বলে, ইভিএম আসবে না, ইভিএম চায় না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে কেন গেল না?

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি পদ্মা সেতুতেই কাত হয়ে গেছে। একটা পদ্মা সেতুতেই আপনাদের বুকের ব্যথা বেড়ে গেছে। সামনে মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আরও কত প্রকল্প।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়েছে। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কামরুল হাসান, স্বাচিপ মহাসচিব এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. জাহিদ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা স্বাচিপের আহ্বায়ক আবু নাসার রিজভী। সভাটি সঞ্চালনা করেন বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের সদস্যসচিব, সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার।