রাজবাড়ীর মহিলা দল নেত্রী স্মৃতিকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৮, ২০২২, ৬:২১ অপরাহ্ণ / ৮১
রাজবাড়ীর মহিলা দল নেত্রী স্মৃতিকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ী মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে আপিল দুই মাস পর্যন্ত মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর ফলে স্মৃতির জামিন স্থগিত করে চেম্বারজজ আদালতের দেওয়া আদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়লো। আর তাকে ওই সময় পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরসেদ। আর স্মৃতির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মনিরুজ্জামান আসাদ ও মাকসুদ উল্লাহ।

গত ২ নভেম্বর সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন স্থগিত করেন চেম্বারজজ আদালত। এর আগে ৩১ অক্টোবর রাজবাড়ীর মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়াকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে গত ৪ অক্টোবর রাজবাড়ীর নিজ বাসা থেকে স্মৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর ১০ অক্টোবর রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতে সোনিয়া আক্তারের জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক কায়ছুন নাহার সুরমা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

সোনিয়া আক্তার স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের সদস্য। তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার প্রবাসী মো. খোকনের স্ত্রী।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সামসুল আরেফিন চৌধুরী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয় পুলিশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোনিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট সোনিয়া আক্তার তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে ‘আপত্তিকর’ কথা লেখেন। পোস্টটিতে প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।