‘মানুষ নাকি রাস্তায় নামে না, এখন তো দেখলেন, রাস্তায় নামলে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে’


প্রকাশের সময় : আগস্ট ৭, ২০২২, ৩:০৮ অপরাহ্ণ / ৩৯০
‘মানুষ নাকি রাস্তায় নামে না, এখন তো দেখলেন, রাস্তায় নামলে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে’

পুলিশের গুলিতে ভোলায় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ভোলা জেলা শাখা। এ জন্য আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে প্রায় আধা ঘণ্টা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ফোরামের নেতা–কর্মীরা।

ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ৩১ জুলাই বিএনপির ডাকা সমাবেশটি ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে। তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে। এ দাবি এ দেশের সবার। সংবিধান অনুযায়ী, যেহেতু এটি গণপ্রজাতন্ত্রী একটি দেশ, তাই সরকারের কাছে মানুষের ন্যায়সংগত দাবি করা সাংবিধানিক অধিকার। প্রশাসন যদি মনে করে, এমন দাবি করলে সমস্যা হতে পারে, তাহলে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। কিন্তু সেদিন (৩১ জুলাই) পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিএনপির সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাহলে সেদিন জনতার ওপর কেন গুলি ছোড়া হলো?

জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ তাঁদের গুলি করে হত্যা করেছে। এই মামলার আসামি ৩৬ জন পুলিশ। আমাদের দাবি, আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। তার পাশাপাশি বর্তমান সরকারকে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করতে হবে। যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে বাংলার জনতা আন্দোলন সংগ্রাম করে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাড়বে।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আজ তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দামসহ দ্রব্যমূল্য হু হু করে বেড়েই চলেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। দেশের এই নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ, সদস্য জাভেদ ইকবাল প্রমুখ।