পঞ্চগড়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে অনিয়ম, ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা সংশ্লিষ্টদের।


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৫, ২০২৪, ১০:০৭ অপরাহ্ণ / ২৬
পঞ্চগড়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে অনিয়ম, ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা সংশ্লিষ্টদের।

মোঃ মোমিন ইসলাম সরকার দেবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৫ নং বড়শশী ইউনিয়নের বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবস্থা গ্রহণের বিপরীতে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে কেন নিউজ করবে এমন প্রশ্ন তুলছেন পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল মালেক। ওই স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বোদা উপজেলা পরিষদ হলরুমে লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবা পরীক্ষা নেওয়া হয়। অভিযোগে রয়েছে, সকল চাকরী প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষার চিঠি না দিয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে কয়েকজনকে জানিয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উপজেলা পরিষদে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
এমনকি নিজের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে উপজেলার হলরুমে কেন নেওয়া হয়েছে তার কোন সঠিক উত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে৷ অফিস সহকারী পদে বালাপাড়ার মৃত রমজানের ছেলে আরিফ হোসেন, পরিছন্নতা কর্মী পদে নূরপুরের আবু বক্করের ছেলে আসাদুল, নৈশ প্রহরী পদে বগদুলঝুলার রাশিদুল ইসলামের ছেলে টুটুল আয়া পদে ,, বগদুলঝুলার আব্দুল বারের মেয়ে রুমী আক্তার নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারভীন আক্তারের বক্তব্য নিতে গেলো তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন। পরীক্ষা কেন উপজেলায় নেওয়া হলো এমন প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, এটা ইউএনও স্যার ভালো জানেন। পরীক্ষাটি এখানে কীভাবে এসেছে, এই বিষয়ে আমার জানা নাই। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরজামালের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সংবাদ প্রকাশ করতে বলেন। এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল মালেক বলেন, নিয়োগের তথ্য আপনাদের কি প্রয়োজন। এসব নিউজ আপনারা কেন করবেন। তিনি পঞ্চগড়ের কিছু সংখ্যক সিনিয়র সাংবাদিকদের হ্যায় প্রতিপন্ন করে বলেন, তাদের কাজ নাই সারাদিন নিয়োগের পিছনে পড়ে থাকে। নিয়োগ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে হওয়ার কথা উপজেলায় কেনো নিয়েছে আমি জানিনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেনো তার দপ্তরে পরীক্ষা নিয়েছে এটা আপনারা তার কাছ থেকেই শুনে নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা আমার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নেই। উপজেলায় নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে আমার কাছে কোন আবেদন কেউ দেয়নি। বিষয়টি জানতে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। নিয়োগের বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান স্থানীয়রা।