পঞ্চগড়ে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ লিলুফা ইসলাম ফাউন্ডেশন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সংস্থার পক্ষ থেকে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ১:৪৩ অপরাহ্ণ / ১৭৫
পঞ্চগড়ে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ লিলুফা ইসলাম ফাউন্ডেশন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সংস্থার পক্ষ থেকে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন
মাজহারুল ইসলাম পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ দেশের সর্ব উত্তরে  পঞ্চগড়ের সর্বত্রে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া। নিম্ন আয়ের মানুষের জিবন যাত্রা বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। গতকাল ১৭ জানুয়ারী পঞ্চগড়ের  সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বাড়ছে শীতের তীব্রতাও।

এমন পরিস্থীতিতে বোদায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের অন্যতম সদস্য ও লিলুফা ইসলাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার কৌশিক নাহিয়ান নাবিদের সভাপতিত্বে গত ১৭ জানুয়ারী মঙ্গগলবার বোদা উপজেলা অডিটরিয়াম হলে লিলুফা ইসলাম ফাউন্ডশন কতৃক শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, বোদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইউসুফ আলী দুলাল, আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন  সম্পাদক ও বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল ও বোদা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান জিল্লু প্রমুখ।অনুষ্ঠান শেষে বোদা উপজেলার গরীব অসহায় দুস্থ্য মানুষদের মাঝে ৮ শত কম্বল বিতরন করেন।

অপরদিকে বোদা এশিয়ান রোড সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বোদা উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সেনা কল্যান সংস্থা গতকাল ১৭ জানুয়ারী মঙ্গরবার সেনাকল্যান সংস্থার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার তৌকির আহম্মদ ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাধারন সম্পাদক সফিউল আলম, শহিদুল ইসলাম, লিটন, হারুনুর রশিদ, মকছেদুর রহমান প্রমুখ।

সূত্রটি জানায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত মঙ্গলবার সারাদিন শীত ও ঘন কুয়াশায় সূর্য্যের মুখ দেখা যায়নি।  জেলায় সকাল ১২টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারদিক। রাত্রীবেলায়  যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। শীতের এ সময়টাতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে রিকশা-ভ্যান, অটোচালক, দিনমজুর খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। সকালে তারা কাজে যেতে পারছে না। কনকনে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দৈনন্দিন আয় রোজগার কমে গেছে।

শীতবস্ত্রের অভাবে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।শীত ও ঠান্ডা জনিত কারণে সর্দি কাঁশি এজমা,  ডায়রিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। গরীব অসহায় দুস্থ্য সহ অসংখ্য গরীব অসহায় মানুষেরা কাবু হয়ে পড়েছে।এই মুহুর্তে শীতবস্ত্র ও ত্রান বিতরন প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মত প্রকাশ করেছেন।