স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রবাসীদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখেই ‘দলিল যার, জমি তার’ আইনটি করা হয়েছে। চাইলেই অন্যের জমি দখল করে সাইনবোর্ড টানিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১০ মার্চ) সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশির আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে প্রবাসীরাই বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং। আগে গুগলে বাংলাদেশ লিখে সার্চ করলে কোনো এক গরীব কৃষকের লাঙল আর গরু দিয়ে হাল চাষ করা কিংবা কোনো নারী বাচ্চা কোলে ইট ভাঙছে এমন ছবি আসতো। এসব দেখে মানুষ ভাবতো আসলেই বুঝি বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু সেসব এখন বদলে গেছে। বাংলাদেশের উন্নত চিত্র সবার সামনে ফুঁটে উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি।
মোমেন বলেন, দেশের বাইরে প্রতিটি মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার করা হয়েছে। এই বঙ্গবন্ধু কর্নার থেকে মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে জানতে পারছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্ম। অনেকে এটা জানে না বলে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের সবক শেখাতে আসে।
দেশের এই বদলে যাওয়ার গল্পে প্রবাসীদের ভূমিকা অনেক উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে। সিলেটের মতো অঞ্চলগুলোর চেহারা বদলে গেছে। এসব হয়েছে প্রবাসীদের অর্থের কল্যাণে।
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করতে চাইলে সব দিকে নজর রাখতে হবে। সম্প্রতি বিদেশি ডাক্তারদের একটি দল বাংলাদেশে আসে। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ডাক্তারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে এই বিদেশি ডাক্তারদের জরিমানা করা হয়। এটা কোনো ভালো দৃষ্টান্ত হতে পারে না বলে ক্ষোভ জানান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, জরিমানা করা আসলেই বাড়াবাড়ি হয়েছে। বাইরের কোনো ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখতে পারবে না এটা সত্যি। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে এসে এমন ঘটনার সম্মুখীন হওয়া অনভিপ্রেত। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক ক্ষমতা আছে। চাইলে তারা অনেক কিছু করতে পারেন। কিন্তু কোথায় কী করা উচিত এই বিবেচনাবোধ থাকলে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশির (এনআরবি) চেয়ারপারসন সেকিল চৌধুরী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন।
আপনার মতামত লিখুন :