আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই: দুদু


প্রকাশের সময় : জুন ৯, ২০২৩, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ / ৬৭
আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই: দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক :- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সংসদ ভেঙে এ বছরই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই৷ কারণ, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণ আর বিশ্বাস করে না৷

শুক্রবার (৯ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের আয়োজনে সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে৷ বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বী৷ আমরা সঠিক নির্বাচন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় আসবো৷

তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন ১৬ টাকা কেজি দরে জনগণকে চাল দিয়েছিলেন, তখন আওয়ামী লীগ মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কৃষককে বিনামূল্যে সার দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষকে আজ ৮০ কেজি দরে চাল কিনতে হচ্ছে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে এ সরকার সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে৷

দুদু আরও বলেন, এবারের আন্দোলন হবে চোর তাড়ানোর আন্দোলন৷ এবারের আন্দোলন হবে দেশকে জঞ্জালমুক্ত করার আন্দোলন৷ এবারের আন্দোলন হবে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের তাড়ানোর আন্দোলন৷

তিনি বলেন, পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে৷ সরকারের মধ্যেও একটা ওলট-পালট অবস্থা শুরু হয়ে গেছে৷ প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎতের দাম বাড়ছে৷ ইচ্ছামতো তারা চার্জ কাটছে৷ কিছুই বলা যাচ্ছে না৷ গ্রামের অনেক জায়গায় ষোলো থেকে আঠারো ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না৷ তাহলে এ ব্যর্থ সরকারের থাকার দরকার কী? শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, ব্যর্থতার জন্যও এ সরকারের থাকার যৌক্তিকতা নেই৷ যেখানে আওয়ামী লীগ থাকে সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না৷

জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবির বলেন, সরকারের মধ্যে ফাটল শুরু হয়ে গেছে৷ গত কদিনে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনলেই তা স্পষ্ট৷ তাদের জুনিয়র মন্ত্রীরা সিনিয়র মন্ত্রীদের মানছে না৷ আমেরিকার নতুন ভিসানীতির কারণে সরকারের লুটেরারা এতদিন যত অর্থ বিদেশে জমিয়েছে সেগুলোও ভোগ করার সুযোগ পাবে না৷

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী চালক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল খন্দকারসহ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা৷