সাংবাদিকতার কাজে বিঘ্নকারীর দ্রুত বিচার জরুরি
এস. হোসেন মোল্লা —
গত সোমবার ভোরে আনুমানিক চারটার দিকে রাজধানীর মিরপুর এক নাম্বারের ফলের আড়তে গাড়ি থেকে ডাব নামাচ্ছিলেন কিছু শ্রমিক।সেখানে উপস্থিত হন দৈনিক একাত্তরের বাংলাদেশের সাংবাদিক সাগর বাদশা। কোথা থেকে এই ডাব আনা হয়েছে এবং কত টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে জিজ্ঞাসা করাতেই আড়ত মালিক অহেতুক ক্ষিপ্ত হন গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে উপস্থিত হওয়া সাংবাদিক এর উপর । আড়তের মালিক সাংবাদিক সাগর বাদশার গলায় ঝুলন্ত আইডি কার্ড ধরে টানতে টানতে বলেন — “এই কার্ড গলায় আর যেন না ঝুলানো হয়, এটা পকেটে রেখে দে। তোর প্রত্যেকটি কথাই আমার অপ্রিয়। তাই তুই পিটুনি খাওয়ার উপযুক্ত “!
বাস্তব ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাংবাদিক সাগর ডাবের দাম জিজ্ঞাসা করাতেই আচানক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ডাব আড়তের মালিক! আড়তের মালিকের সাথে এমন কথা বা আচরণ করার মত কোন ঘটনাই পাওয়া যায়নি যার কারণে উক্ত মালিক এমন আচরণ করতে পারেন! প্রত্যক্ষদর্শী কিছু শ্রমিক ও দোকানীর সাথে আলোচনায় জানা যায়, মালিকের এই আচরণ অবশ্যই বেয়াদবি, আপত্তিকর, অসামাজিক ও দু:খজনক বটে ।তাছাড়াও তিনি একজন ভয়াবহ জঘন্য ব্যাক্তি। তার রয়েছে সক্রিয় সন্ত্রাসী ও সিন্ডিকেট বাহিনী। যেকোনো অঘটন তারা চোখের পলকেই ঘটাতে সক্ষম !
সচেতন মহলের মতে,আমাদের দেশে সাংবিধানিক ভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের অনেক উচ্চতর মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতা থাকার পরও সাংবাদিকরা কেন এত অপদস্ত, হেনস্তা ও অসহায়ত্বের শিকার তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই ব্যাবস্থা চালু করতে হলে অবশ্যই সাংবাদিকদের কাজে বিঘ্নকারী তথা বিদঘুটে ও উদ্ভট আচরণ করা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর অনিয়মের গোপন রহস্য ও ইতিহাস অনুসন্ধান তথা জীবন বৃত্তান্ত তল্লাশী জরুরি।
জনমনে প্রশ্ন — ” আর কতকাল সাংবাদিকগণ অসহায় অবস্থায় থাকবে? কতকাল এভাবে পরিচয় পাওয়া মাত্রই আক্রোশ বশত: ক্ষিপ্ত ও আক্রমণাত্নক আচরণ করবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কতিপয় প্রতিষ্ঠিত বা গুপ্ত দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা? কেন ও কি উদ্দেশ্যে এই আচরণ ও নির্যাতন ?এই আচরনের পেছনেই বা কিসের কালো হাতের ঈশারা “? সব কিছুই গোয়েন্দা তদন্তের মাধ্যমে বের করে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা জরুরি। তা না হলে এই দেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম সোনার বাংলা বলা যেতে পারে না!
সাগর বাদশা জানান,তিনি কথা না বাড়িয়ে নিরাপত্তার অভাবেই সেখান থেকে দ্রুত কেটে পরেন। উক্ত ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেট জব্বারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে প্রশাসন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। সর্বশেষ জানা যায়, একটি সুগঠিত সাংবাদিক টিম শীঘ্রই উক্ত ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের সাথে কারণে-অকারণে, যখন-তখন নিন্দাসূচক বা আক্রোশমুলক ব্যবহারের খবর পাওয়া মাত্র তাকে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে সরাসরি আইনের আওতায় আনা জরুরি।সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকার লংঘনকারীদের জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দ্রুত বিচার ব্যাবস্থা কামনা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :