স্টাফ রিপোর্টার:
সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত নেএকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা (তজু) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বড় ভাই ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাইমন তজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের রাশিমণি এলাকায় সন্ত্রাসীরা সুব্রত সাংমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে। পরে সাড়ে ৮টার দিকে সুব্রত সাংমা মোটরসাইকেলে চিকিৎসার জন্য উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাওয়ার পথে পৌরসভাস্থ শিবগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা সুব্রত সাংমাকে লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু বাদি হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতেই দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়।ওই মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে হাজির হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
সুব্রত সাংমার মৃত্যুর ঘটনায় দুর্গাপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন অনেকে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রেমন্ড আরেং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন,”কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা (তজু) রাজনীতির কারণে মারা-ই গেলো। আওয়ামী লীগ বাঁচিয়ে রাখতে পারলো না তাঁকে বিএনপি’র থাবা থেকে।
দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “আমরা গভীরভাবে শোকাহত।স্বাধীনতাপক্ষ সরকারের আমলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আজ সময় এসেছে প্রতিবাদের। শুভ্র সাংমার হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদদের দ্রত আইনের আওতায় আনা হোক। শুভ্র সাংমার আত্নার শান্তি কামনা করি।”
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় নাগরিক হিরন মিয়া বলেন, “এই মৃত্যু মেনে নেওয়ার মত না। এটা কি হয়ে গেলো! কুল্লাগড়াবাসী এখন থেকে বুঝবে আমরা কি হারিয়েছি।”
নূরে আলম হুমায়ূন বলেন,”এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। হত্যার সাথে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক,জোরালো দাবি জানাই।”
আপনার মতামত লিখুন :