ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রা খুন, ৯বছর পর আটক


প্রকাশের সময় : মে ২২, ২০২৩, ৫:০৭ অপরাহ্ণ / ৭৩
ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রা খুন, ৯বছর পর আটক

বিশেষ প্রতিনিধ,ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চাঞ্চল্যকর ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রাকে খুনের ঘটনায় মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান হাব্বি’কে দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক থাকার পর ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।

আজ ২১মে সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন,র‍্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন।

১৮মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের কোতোয়ালী থানাধীন টাউন হল মোড় এলাকা হতে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম বাবুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান হাব্বি @ হাফিজুল ইসলাম’কে (৩৯), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী, থানা-মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করে।

সম্পর্কে ভিকটিম বাবুল ও আসামী হাবিবুর ভায়রা ভাই। ঘটনার দিন ১৭/০৪/২০১২ খ্রি. তারিখ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন মহেশবাড়ী গ্রামে শ্বশুড় মোঃ আঃ বারেক এর বাড়ীতে টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে, ছোট ভায়রা (পাওনাদার) আসামী হাবিবুর রহমান হাব্বি @ হাফিজুল ইসলাম পেপসির কাচের বোতল দিয়ে বড় ভায়রা (দেনাদার) ভিকটিম আবুল কালাম বাবুল (৩৭) এর মাথার ডান পাশে আঘাত করলে ভিকটিম বাবুল মাটিতে পড়ে যায় এবং উপর্যুপরি আসামী হাবিবুর লোহার ছেচনি দিয়ে ভিকটিমের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়।

ভিকটিম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন১৩/০৫/২০১২ তাং মৃত্যু হয়। এর আগে
২০/০৪/২০১২ইং ভিকটিমের বাবা মোঃ আব্দুল মালেক
বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করে। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে। জামিনে থাকা অবস্থায় আসামী পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর,এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী হাবিবুর রহমান হাব্বি, হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার ছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে,সেই প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।