উত্তরায় অবৈধ বারে অভিযান গ্রেফতার ৩৫


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৮, ২০২২, ৮:১৭ অপরাহ্ণ / ১১৯
উত্তরায় অবৈধ বারে অভিযান গ্রেফতার ৩৫

আইনের চোখ প্রতিবেদন :- ওয়েটার থেকে শতকোটি টাকার মালিক মুক্তারকে খুঁজছে ডিবি

রাজধানীর উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও বারে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে বার মালিক মুক্তার হোসেন পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানে ওই অবৈধ বার থেকে ৫ হাজার ৪০০ পিস বিদেশি বিয়ার এবং প্রায় ৬০০ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়। ওই বারে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাতায়াত ছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনজীবী ও চিকিৎসক। শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির মধ্যেও বেআইনিভাবে দেশে অবৈধ মদ-বিয়ার প্রবেশ করছে। এগুলো বিভিন্ন বার-রেস্টেুরেন্টে দেদার বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও বারে অভিযান ডিবির বড় সাফল্য। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকা উচিত।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল যে, উত্তরার ওই ভবনে গান-বাজনার নামে ছেলেমেয়েরা ডিজে পার্টি করে। একই সঙ্গে সেখানে বিক্রি হয় প্রচুর পরিমাণ মদ। রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে ভবনের সাততলায় গিয়ে ডিবির দল দেখে অনেক ছেলেমেয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। পরে ভেতরে গিয়ে দেখে, সেখানে প্রচুর বিদেশি বিয়ার ও মদ। ডিবির দল ৫-৬ তলায় গিয়েও একই অবস্থা দেখতে পায়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, অভিযানে পাওয়া ৬০০ বোতল দামি বিদেশি মদ ও সাড়ে পাঁচ হাজার ক্যান বিদেশি বিয়ার কীভাবে দেশে আনা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো তথ্যই জানাতে পারেনি বার কর্তৃপক্ষ। কাগজপত্র দেখতে ডিবি পুলিশ বাড়িটিতে রাত ৯টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। তারপরও তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপর বার থেকে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে।

যাদের গ্রেফতার করা হয় তারা হলেন-আবু সালেহ, মো. মোহন, মুকুল, সিব্বির আহম্মেদ, রাসেল, আবুল কাসেম মিন্টু, নাহিদ দারিয়া, শান্ত ইসলাম, আলিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, রহমত আলী, খালেক সাইফুল্লাহ, ইমরান, সাহান শেখ, মোফাজ্জেল, ওবায়েদ মজুমদার, ইবাদত খান, রাইস উদ্দিন, রায়হান, রুবল, রিফাত, ফয়সাল, শরিফুল ইসলাম, রাসেল, জাহিদ হাসান, রওশন জামিল রাসেল, হুমায়ুন কবির, তোফাজ্জেল হোসেন, রিয়াদ হোসেন, আল আমিন, কাইয়ুম, নয় দাস, শাওন দাস ও মাহমুদুল হাসান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালের সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন কিংফিশার বারের মালিক মুক্তার। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু একাধিক কর্মকর্তার যোগসাজশে অবৈধভাবে মাদক ব্যবসা চালাতেন তিনি। অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই বারে। সেখান থেকে তিনি মাসোহারা আদায় করতেন।