প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৬, ২০২২, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ / ১১৯
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

 কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:- কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেওয়ার আশ্বাসে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী টাকা দেওয়ার পরও ভাতার কার্ড না পাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিলে ইউপি সদস্য তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়। হুমকির অডিও রেকর্ডিং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ইউপি সদস্য খোকনকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী যদুবয়রা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ্বাস। তিনি তার শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী আমেনা খাতুনের ভাতার জন্য টাকা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস জানান, তার প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ভাতা করে দেওয়ার জন্য যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য এমদাদুল হক খোকন নিজে ৫০০ টাকা ও একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হাসির কাছে দুই হাজার ৮০০ টাকা দিতে বলেন।

তিনি টাকা দেওয়ার পর খোকন তার স্ত্রীর প্রতিবন্ধীর পরিচয়পত্র দিয়েছেন। এ সময় তিনি ভাতার কার্ড চাইলে খোকন নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এ ছাড়া নারী ইউপি সদস্য তার কাছে আরও তিন হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে খোকন তাকে তাড়িয়ে দেন। পরে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে সাংবাদিকদের অফিসে থাকাবস্থায় ইউপি সদস্য খোকন তাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি দরখাস্ত তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন।

৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য হাসি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভাতার কার্ড করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয়। যে কারণে তিনি দুই হাজার ৮০০ টাকা নিয়েছেন। পরে আরও তিন হাজার টাকা দাবির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান জানান, যদি কোনো ইউপি সদস্য ভাতার কার্ড করার জন্য টাকা নিয়ে থাকেন, তা হলে এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর নিকট ভাতার কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ভাতার কার্ড করতেই টাকা লাগে না। যদি কেউ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, ভাতার কার্ড করার জন্য ইউপি সদস্য টাকা নিয়েছেন এমন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা মিললে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।