চাষাবাদ বাড়াতে হবে কোনো জমি অনাবাদি না রেখে : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ / ৩৫৩
চাষাবাদ বাড়াতে হবে কোনো জমি অনাবাদি না রেখে : প্রধানমন্ত্রী

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন।

কোনো জমি অনাবাদি না রেখে চাষাবাদ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের এ বৈঠক হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মিতব্যয়ী হয়ে প্রকল্প যাচাই-বাছাই করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

একনেক সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা জানান।প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার আগে জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। যাতে করে সরকারি টাকায় কেনা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার পায় জনগণ।

কোনো জমি অনাবাদি না রেখে চাষাবাদ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।

ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স (ইনমাস) মিডফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমি চাকরি জীবনে যখন মাঠ পর্যায়ে ছিলাম তখন দেখেছি, অনেকে স্বাস্থ্যের যন্ত্রপাতি খুলতেই পারে না। তবে কীভাবে মানুষ সঠিক সেবা পাবে?

এদিন বৈঠকে ‘মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পুষ্টির চাহিদা মেটানো ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সারাদেশে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ করবে সরকার। ৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।দেশের ৬৪টি জেলার যেসব উপজেলায় মাশরুম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে তেমন ১৬০টি উপজেলা ও ১৫টি মেট্রোপলিটন থানায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে। মাশরুম একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবার, যা চাষের জন্য আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না।

অনুৎপাদনশীল স্বল্পপরিমাণ জমিতে স্বল্প পুঁজিতে মাশরুম উৎপাদন করা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া বছরব্যাপী মাশরুম চাষের উপযোগী। হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং উচ্চবিত্ত জনগণের কাছে মাশরুমের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের মাশরুম চাষে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।