হরতাল ডেকে ভাঙচুর ও রক্তারক্তি করলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : আগস্ট ৫, ২০২২, ১:৪৯ অপরাহ্ণ / ৩৭৪
হরতাল ডেকে ভাঙচুর ও রক্তারক্তি করলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা সিটি করপোরেশন চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত শোকাঞ্জলি শীর্ষক এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হরতাল ডাকতে পারে, ধর্মঘট ডাকতে পারে, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু অহেতুক যদি যানবাহন বন্ধ করে, আমাদের জনসাধারণের কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করে, জানমালের সমস্যা করে কিংবা কোনো রক্তারক্তি, ভাঙচুর করে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাজটি সঠিকভাবে করবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের মানে এই নয় যে আমাদের ক্যাপাসিটি নেই। আমাদের পূর্ণ ক্যাপাসিটি আছে। এ অবস্থার একটু উন্নতি হলে আমরা আবার আগের পর্যায়ে চলে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দূরদর্শী নেতা। তিনি গ্যাসভিত্তিক, কয়লাভিত্তিক, সোলারভিত্তিক এবং আজ নিউক্লিয়ারভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট করছেন। তাই আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। আমরা সব খুনির ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে চাই। সেদিন যারা খুনিদের ইন্ধন দিয়েছিল, তাদেরও জাতির সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে। তারা বিশ্বাসঘাতক।’ তিনি আরও বলেন, খুনিরা ভালোভাবে জানত বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাঁর ধমনিতে প্রবহমান রয়েছে, তাঁর কারণে তাদের একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আজ তাই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাঁরই কন্যার হাত ধরে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম নগরের কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ছয় দিনব্যাপী এ শোকাঞ্জলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। কাদের মদদে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, সেই সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীর মুখোশ উন্মোচন করা হোক। ইতিহাসের জন্য এটা দরকার।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় নেতা সরোয়ার আলমের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক রাসেল, নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক।