রংপুরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তঃসত্বা স্ত্রীর গর্ভপাত, স্বামীর চোখ অন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ,থানায় মামলা দায়ের, আটক ১ জন


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ৬:০৩ অপরাহ্ণ / ৯৪
রংপুরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তঃসত্বা স্ত্রীর গর্ভপাত, স্বামীর চোখ অন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ,থানায় মামলা দায়ের, আটক ১ জন

ক্রাইম রিপোর্টার,রংপুর: মঙ্গলবার (১৮-০৪-২০২৩) রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডোস্থ মন্ডলপাড়ায় জয়দার মোড়ে মোঃ সবুজ মিয়ার দোকানের সামনে রাত আনুমানিক ০৯:০০ দিকে আব্দুল হকের দোকান শান্তি ভ্যারাইটিজ স্টোরের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার জেরে তার দুই ছেলে রাসেল,আল আমিন ও  দুই মেয়ে কর্তৃক মোছাঃ মারুফা আক্তার ও মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে বাবু উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে বাবু দোকানের মালিক আব্দুল হকের নিকট মাসিক বাজার বাকী নিতেন এবং মাস শেষে টাকা পরিশোধ করতেন। সেই সুত্র ধরেই ১২০০/- টাকার লম্বা সময়ের একটি জের পরে যায়। ঘটনার দিন রাতে হাবিবুল্লাহ ওরফে বাবু তার নিজ বাসা থেকে তারাবী নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাবার পথে আব্দুল হকের সাথে সাক্ষাৎ হয়। আব্দুল হক তার কাছে পাওনা টাকা পরিশোধের চাপ প্রয়োগ করলে তিনি ঈদের পুর্বেই টাকা পরিশোধ করবে বলে সম্মতি গ্যাপন করে। কিন্তু আব্দুল হক তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে তার চার সন্তানকে মোঃ হাবিবুল্লাহর উপর এলিয়ে দেয়।

পরে রাসেল এবং আল-আমিন লোহার রড এবং চাপাতা দিয়ে এলোপাতাড়ি তাকে আক্রমণ করতে থাকে, এসময় আল আমিনের হাতে থাকা চাপাতার আঘাতে মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে বাবুর বাম চোখ কেটে বেড় হয়ে যায়। এই বর্বরোচিত হামলা থেকে রেহাই পায়নি বাবুর তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছাঃ মারুফা আক্তার। স্বামীর উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ ঠেকাতে এসে নিজেই হামলার শিকার হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, পরে রাসেল,আল আমিন এবং তাদের দুই বোন মিলে মারুফা আক্তার তার বুকে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে, ঘটনাস্থলেই সে সেন্সলেস হয়ে পরে।

পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ হাবিবুল্লাহ ওরফে বাবুর বাম চোখের কর্নিয়া ফেটে ৯৮ শাতাং নষ্ট হয়েছে মর্মে ঘোষণা দেয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে যাবার পরামর্শ দেয়, অপরদিকে মোছাঃ মারুফা আক্তারের প্রচন্ড ব্লিডিং হওয়ায় গর্ভেথাকা তিন মাসের সন্তান মারা যায় মর্মে ঘোষণা দেয়।

এদিকে এই ঘটনায় মোছাঃ মারুফা আক্তার বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায়  আব্দুল হক, আল আমিন, রাসেল সহ ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে । সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পুলিশ এই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এলাকাবাসী এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেই সাথে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।