সোহেল রানা বাবু ,বাগেরহাট
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বি.সি ভাষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবের ১৭টি সহ ১৯টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। এ বছরের ২৫ জুন এই ল্যাপটপগুলি চুরির ঘটনা ঘটে।
তবে এতদিনে ঘটনাটি প্রকাশ হয়নি। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন দাস ল্যাপটপ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঈদ উল আজহার বন্ধে গত ২৫ জুন বিদ্যালয়ের ল্যাব রুমের তালাগুলো ভেঙ্গে ১৯টি ল্যাপটপ নিয়ে যায় চোরেরা। এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ জুন থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ফয়জুল হক ও ল্যাব সহকারী সিদ্ধার্ত সরকার পাইককে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও কচুয়া থানা পুলিশের সালিশি বৈঠকে নৈশপ্রহরী ফয়জুল হক ১০টি ল্যাপটপ কিনে দেবে বলে জানায়। বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এটাতে সম্মত হয়েছিলেন। ৮টি ল্যাপটপ ইতোমধ্যে সে কিনে দিয়েছে। তবে তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি বলে স্বীকার করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। থানা পুলিশ সবকিছু জানে। ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাইকৃত ল্যাপটপ উদ্ধার হলে তো নৈশপ্রহরীর চাকুরী থাকার কথা নয় এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা অবগত আছেন।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি বলেছিলেন, তারা ল্যাপটপ পেয়েছেন তাই মামলা করবেন না।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জানতে পেরেছি। কচুয়া উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার মেহেদী মান্নানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :