ঢাকা  মিরপুর – কাফরুলে এম পি ও ভুক্ত স্কুল ” মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়” ট্রাষ্টি না করার জন্য অনুরোধে মানববন্ধন 


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ১১:১৬ অপরাহ্ণ / ২৯
ঢাকা  মিরপুর – কাফরুলে এম পি ও ভুক্ত স্কুল ” মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়” ট্রাষ্টি না করার জন্য অনুরোধে মানববন্ধন 
স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল রানা 
আজ ১৫( অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা  মিরপুর – কাফরুলে এম পি ও ভুক্ত স্কুল ” মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়” ট্রাষ্টি না করার জন্য অনুরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় 
এ অনুষ্ঠানে সদস্য সচিব মনিপুর স্কুল রক্ষা সর্ব দলীয় কমিটির,মুহাম্মদ আহসান হাবীব এর সঞ্চালনায়, কবি অধ্যক্ষ এম ইউনুস ফার্সি সভাপতিত্বে, এম ইউনুস ফার্সি লিখিত বক্তব্যে বলেন, জনাব, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ ইং সালে স্থাপিত হয়েছিল ঢাকার মিরপুর মনিপুর নামক স্থানে। স্থানীয় দানবীর ব্যক্তিত্ব প্রয়াত নূর মোহাম্মদ এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। এবং শেখ সবদার আলী মহোদয় এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।শেখ সবদার আলী অসাধারণ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। এই মহান মানুষটি শিক্ষক ও কমিটির সহযোগিতায় স্কুলটিকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্কুলের কাতারে দাড় করাতে পেরেছেন। যাইহোক, ২০০৮ইং সালে কামাল আহমেদ মজুমদার ঢাকা -১৫ আসনের এম পি হয়ে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর তিনি জনাব, ফরহাদ হোসেন কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক / অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। জনাব, কামাল মজুমদার সাহেব স্কুল ফান্ডের টাকা, অভিভাবকদের ডোনেশন এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে স্কুলটির আরো চারটি ক্যাম্পাসে কয়েকটি ভবন নির্মাণ করেন। এসকল কর্মে তার সিলেক্টেড কয়েকজন সদস্য নিয়েই এ সকল কর্ম সম্পাদন করেন। বিগত ১৫ বছরে তিনি গভর্নিং বউির কোন নির্বাচন দেননি। তিনি স্কুলের বেতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেন। জনশ্রুতি রয়েছে স্কুলের টাকা সরিয়ে জনাব, কামাল আহমেদ মজুমদার সাভারে কয়েক হাজার বিঘা জমি কিনেছেন। মোহনা টিভি ভবন ও মোহনা টিভি লাইসেন্স অর্জন করেছেন। তার এসকল কাজে তাকে সহায়তা করেছেন জনাব, ইন; কাশেম, জনাব দেলোয়ার, জনাব ফরহাদ হোসেন। ইতিমধ্যে দূদক জনাব, দেলোয়ার সাহেবের কাছে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৪০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ সন্ধান পেয়েছে। এই খবর জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইনকিলাব সহ সাত আটটি পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে ছেপেছে। জনাব, কামাল আহমেদ মজুমদার কে বড় ধরনের লোভে পেয়ে বসেছেন।তিনি রাষ্ট্রের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নিজের পারিবারিক সম্পত্তি বানানোর জন্য এই স্কুলটিকে ট্রাস্টি করতে যাচ্ছেন। এবং এজন্য গত আট বছর যাবৎ স্কুলের শিক্ষকদের এম পি ওর বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদিকে মিরপুর -১০ আদর্শ স্কুলটিকে মনিপুর স্কুলের শাখা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।তাতে মনিপুর স্কুলের সাথে আদর্শ স্কুলও তার পরিবারের সম্পত্তিতে পরিনত হবে। এবং আদর্শ স্কুলের সমগ্র অবকাঠামোর পরিবর্তন করে সেই স্কুলের মাঠে কয়েকটি শপিং মল নির্মান করেন। এই সকল কাজ তার ব্যক্তির স্বার্থে করেছেন।স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা এ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে অনেক মিছিল মিটিং করেছেন। তাতে বরফ গলেনি।এমতাবস্থায় আমরা মিরপুর, কাফরুল, পল্লবীবাসী আপনার নিকট আকুল আবেদন করছি মনিপুর স্কুল রাষ্ট্রের সম্পদ। এটিকে ট্রাষ্টি করতে দিবেন না।(১) মনিপুর স্কুল এম পিও ভূক্ত আছে এবং এম পি ও ভুক্তই থাকবে। শিক্ষকদের এম পিওর বেতন দ্রুত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
(২) প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর বেতন কমপক্ষে ২০০/৩০০ টাকা কমিয়ে অভিভাবকদের একটু বহনযোগ্য করার অনুরোধ করছি। (৩) অনধিক ৪/৫ মাসের মধ্যে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন দিতে হবে। (৪) দূদক কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্কুলের আয় ব্যয়ের হিসাব নিতে হবে। এবং স্কুল থেকে পাচারকৃত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। নতুন প্রতিনিধি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের অধীন স্কুল পরিচালনা করতে হবে। (৫) স্কুলের স্বার্থে আপনি আরো বিবিধ যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। আমরা আপনার জন্যগর্বিত। আপনি আজীবন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান এটা জাতীর সাথেআমরাও প্রত্যাশা করি। কিন্তু যারা আপনার রাষ্ট্রের ভাইরাস রোগ জীবানু তাদেরকে দমনকরতে হবে। আপনি ই জাতির শেষ ভরসা। আশাকরি আপনি এ-সব অনাচারের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিবেন।