বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬


প্রকাশের সময় : আগস্ট ৬, ২০২৩, ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ / ১৪২
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬

জেলা প্রতিনিধি বরিশাল :- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে হেলমেট ও মাক্স পরে প্রায় ২২ জন শেরে বাংলা হলে ঢুকে হলের প্রধান গেট এবং শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলো বাইরে থেকে আটকে দেয়। তারা চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় গিয়ে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে। পরে ছাত্রলীগের মুয়ীদুর রহমান বাকি, সাইমুন ইসলাম, ইরফান হোসেন রাজ, ইবনে গালিব, রাকিবুল হোসেন রনি, সোহেল রানা, আয়াত উল্লাহসহ আরও চার থেকে পাঁচজনের ওপর ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে গণিত বিভাগের মুবাশ্বির রিদমের নেতৃত্বে বাংলা বিভাগের তাহমিদ জামান নাভিদ, ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের আল সামাদ শান্তসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন মুখোশ ও হেলমেট পরে আমাদের ওপর হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।

আরেক আহত মুয়ীদুর রহমান বাকি বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের অধিকাংশই নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু তারপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এভাবে হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গণিত বিভাগের মুবাশ্বির রিদম জাগো নিউজকে বলেন, আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। বর্তমানে আমি বাসায় রয়েছি। তবে ছোট ভাইদের দুই গ্ৰুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এছাড়া যারা আহত হয়েছে তারা সবাই বহিরাগত, ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে।