ফ্লু


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৬, ২০২২, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ / ১০৮
ফ্লু

মোঃ রায়হান শরীফ, স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর

ফ্লু কতটা মারাত্বক?

ফ্লু তেমন কোন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে না এবং এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে এই রোগ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। ফ্লু এর উপসর্গগুলি অনেকটা সাধারণ সর্দি কাশির মতো। তাই আনেকেই সর্দি-কাশি ভেবে এই রোগকে অবহেলা করে যা কখনো কখনো মারাত্মক জটিল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধদের (যাদের বয়স ৬৫ বছরের উর্দ্ধে) ক্ষেত্রে ফ্লু থেকে সাবধানতা গ্রহন করা অতীব জরুরী। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে গ্লু এর কারণে যত লোক মারা যায় তার অধিকাংশই বয়োবৃদ্ধ। বয়োবৃদ্ধ ছাড়াও পূর্ণবয়স্ক এবং শিশু যারা শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ (অ্যাজমা), হৃদরোগ, কিডনিজনিত সমস্যায় ভুকছে তাদের জন্য ফ্লু ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও এই রোগের কারণে কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়। কাদের ক্ষেত্রে ফ্লু তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচাইতে বেশি?
অ্যাজমা এবং COPD এর রোগী
* হৃদরোগী,ডায়াবিটিসের রোগী, কিডনি এবং লিভার সমস্যায় ভুকছে। এমন রোগী
• যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম যেমন এইডস এর
রোগী
• অন্যদেশে ভ্রমণকারী
এছাড়া আরও ফ্লু ঝুঁকিতে আছেন যাদের বয়স
/ ৬০ বছরের উর্দ্ধে
– ৫ বছরের কম বয়সের শিশুরা বিশেষত ২ বছরের কম যাদের বাস
গর্ভবতী মহিলা।
কি ভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করা যায়?
• স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন করা
• সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে এবং অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড রাব ব্যবহার
করতে হবে।
• অকারণে হাত চোখে, নাকে এবং মুখে দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে * হাঁচি, কাশির সময় মুখে রুমাল/টিস্যু দ্বারা নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
• অসুস্থ রোগীর সেবা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
ভ্যাকসিনেশন
ফ্লু এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধের কার্যকরী উপায় বিশ্রাম ছাড়া ফ্লু এর কেমন কোন কার্যকরী চিকিৎসা নেই। তবে কার্যকরী টিকার মাধ্যেমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। WHO
প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন কি পাওয়া য হ্যা, ইনসেপটা প্রথমবারের মত বাংলাদেশ প্রস্তুত করছে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা হ
এর ভ্যাকসিন, ইনফ্লুভ্যাক্স।
কারা এ ভ্যাকসিন নিবে?
ফ্লু ভ্যাকসিন ৬ মাস বা তার বেশি বয়সের সকলেই নিতে পারে। US ACIP সুপারিশ অনুসারে নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা ফ্লু এর মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং তাদের প্রতি বছর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
• ৬ মাস হতে ৫৯ মাস পর্যন্ত সকল শিশু গর্ভবতী মহিলা
• ৫০ বছর বয়োশোর্ধ সকল ব্যাক্তি
• যে কোন বয়সের ব্যক্তি যারা দীর্ঘ মেয়াদী রোগে আক্রান্ত যেমন অ্যাজমা বা শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি
• স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সাথে জড়িত সকল ব্যাক্তি
অন্যদেশে ভ্রমণকারী