প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৯, ২০২২, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ / ২২৩
উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের তিন দিনের মাথায় চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডার পদে নিয়োগ নিয়ে উচ্চ আদালতে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার এই নিয়োগ পরীক্ষার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তারা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পায়নি। তবে রিটকারীদের আইনজীবী বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাইকোর্টের আদেশের কপি যে গ্রহণ করেছে, সেই রিসিভিং কপি আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) শীর্ষক অপারেশন প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত কম্পাউন্ডার পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবেশপত্রের সূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে এই পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।   হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

তবে কম্পাউন্ডার পদে নিয়োগ নিয়ে উচ্চ আদালতে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার এই নিয়োগ পরীক্ষার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন।

ওই আদেশে আগামী ছয় মাস এই পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে। কিন্তু আদেশ জারির তিন দিনের মাথায় নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছে অধিদপ্তর।

রিটকারীদের একজন লাকি আক্তার আজ আইনের চোখকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড থেকে যাঁরা ডিপ্লোমা পাস করেন, তাঁদের জন্য এই কম্পাউন্ডার পদটি অনেক কাঙ্ক্ষিত। এর আগেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ডিপ্লোমা পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার শুধু এইচএসসি/সমমান পাস প্রার্থীদের কাছে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা যারা ডিপ্লোমা পাস করেছি, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছি।

লাকি আক্তার আরও বলেন, ‘কম্পাউন্ডার পদটিতে আমাদের সিনিয়ররা চাকরি করেন। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিকে যাঁরা ডিপ্লোমা করেন, তাঁদের জন্য নির্ধারিত খুব বেশি চাকরি নেই। কয়েকটির মধ্যে কম্পাউন্ডার পদটি একটি। সেখানেও আমাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বুধবারই ই-মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডাকযোগেও পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাইকোর্টের আদেশের কপি যে গ্রহণ করেছে, সেই রিসিভিং কপিও আছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পরও পরীক্ষা নেওয়া মানে আদালতের অবমাননা করা।  সাথীকা হোসেন, রিটকারীদের আইনজীবী

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবু জাহের আইনের চোখকে বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পাইনি। আমাদের সঙ্গে কোনো পরীক্ষার্থী যোগাযোগ করেননি। কোনো পরীক্ষার্থীর সমস্যা থাকলে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করলে অবশ্যই সমাধানের উদ্যোগ নিতাম। আমরা নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিচ্ছি।’

তবে রিটকারীদের আইনজীবী সাথীকা হোসেন আইনের চোখকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বুধবারই ই-মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডাকযোগেও পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাইকোর্টের আদেশের কপি যে গ্রহণ করেছে, সেই রিসিভিং কপিও আছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পরও পরীক্ষা নেওয়া মানে আদালতের অবমাননা করা।