সরকারকে হটিতে একমত বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদ


প্রকাশের সময় : আগস্ট ৩, ২০২২, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ / ১৭৯
সরকারকে হটিতে একমত বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদ
এ সরকারকে হটিয়ে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় একমত বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদ

এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি, খুশি হয়েছি যে তারা সব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একই মত ধারণ করে। বিশেষ করে এই সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন নয়, সে ব্যাপার একমত হয়েছে। আমরা এ বিষয়েও একমত হয়েছি যে এ সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না।’

এর ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘কারণ এই সরকার অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে এবং সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা, সামাজিক মূল্যবোধ—সব ধ্বংস করে দিয়েছে। এ কারণে এ সরকারকে সরানোর জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে একমত হয়েছি। এই আন্দোলন আমরা যুগপৎভাবে করব।’

আন্দোলন এবং আন্দোলন-পরবর্তী কিছু রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, তাঁদের লক্ষ্য যুগপৎ আন্দোলনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং তার মধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা— যে সরকার সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সেই সরকার গঠনের পর আমরা রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকারের মতো একটা সরকার গঠন করব।’ এরপর গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব যথার্থই বলেছেন যে চলমান সংকটকে আমরা যেভাবে দেখি, তাতে বিএনপির সঙ্গে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নেই সংকট উত্তরণে আমাদের করণীয় নিয়ে। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। আজকের আলোচনায় মোটামুটি ১০টি বিষয় ছিল।’

এ সরকারকে হটিয়ে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় একমত বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদ

পরে বিএনপির সঙ্গে আলোচ্য বিষয়গুলো সম্পর্কে একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের দেন। তাতে বলা হয়, দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্যান্য গণতন্ত্রকামী দলসমূহের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদ একত্রে বা যুগপৎভাবে কাজ করতে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করে। এর মধ্যে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুগপৎ বা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা।

নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ, কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, সব ধরনের কালাকানুন বাতিল, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।

ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক বলেন, ঐকমত্যের সরকার বলতে স্বাভাবিকভাবে যারা বর্তমান সরকার পরিবর্তনের জন্য রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করছে, তাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।