৮ বছর পর বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৫, ২০২২, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ / ৮০
৮ বছর পর বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি  বরগুনা:- দীর্ঘ আট বছর পরে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে অষ্টম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষণ কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। প্রধান বক্তা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান ও গোলাম কবীর রব্বানী চিনু।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন পাঁচবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মো. জাহাঙ্গীর কবির।

এর আগে শম্ভু ও জাহাঙ্গীর প্রথম সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৯২ সালে। তখন থেকেই তারা ৩০ বছর ধরে সভাপতি সম্পাদকের পদে আছেন। এই ৩০ বছর তারা সভাপতি সম্পাদকের আসনে থাকায় কোনো নতুন নেতৃত্ব আসার সুযোগ হয়নি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার টুকু বলেন, ২০২৪ সালে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামাত-বিএনপি নানান ভাবে সক্রিয় হচ্ছে। ঠিক তখনই বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটা দলকে উজ্জীবিত করবে। তবে বিএনপি জামায়েতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে একটা শক্তিশালী কমিটি জরুরি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বরগুনা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ৯০ এর স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমাদের দিকে তাক করা বন্দুকের নলকেও হার মানিয়েছে। আশা করি এবারের কমিটিতে যোগ্য, শিক্ষিত ও মার্জিত নেতাকর্মীরা স্থান পাবেন।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সভাপতি পদে থেকে দলকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছি। এর আগেও আমি দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করেছি। তাই নবীনদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি আমার পদ থেকে সরে দাঁড়াতেও রাজি আছি। দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী থাকুক এটাই আমার কামনা।