১০ হাজার টাকার চুক্তিতে পঞ্চগড়ে ভাতিজাকে খুন করান চাচা সাইফুল


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ১২:৪২ অপরাহ্ণ / ১৯৮
১০ হাজার টাকার চুক্তিতে পঞ্চগড়ে ভাতিজাকে খুন করান চাচা সাইফুল

মো. আমান উল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টারঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১০ হাজার টাকায় চুক্তিতে দুজন ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে ভাতিজা কামরুল ইসলামকে (৩৫) হত্যা করান চাচা সাইফুল ইসলাম। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী দিদার আলী ও নজিবুল হক কামরুলকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা। হত্যা করার পাঁচ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কামরুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের যুগীগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি কামরুল নিখোঁজ হন। দুইদিন ধরে তার খোঁজ না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি তার ছোট ভাই কাবুল হেসেন তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ওই দিনই বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/২৫ জনের নামে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরদিন ঘটনার সাথে জড়িত দিদার আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হত্যা কারির সাথে জড়িত অন্যতম সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মামলার আরেক আসামি নজিবুল হক এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ধসঢ়;) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফসহ
পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।