হত্যা মামলার দুই যুগ পর রায়, ৭ জনের যাবজ্জীবন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৩, ২০২২, ৫:৪১ অপরাহ্ণ / ৭৫
হত্যা মামলার দুই যুগ পর রায়, ৭ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া:- বগুড়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাতজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর রায়গুলো ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার বিশু।

তিনি বলেন, পৃথক দুই মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ দুই যুগ পর হত্যাকাণ্ড দুটির বিচার কার্য সম্পন্ন হলো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২৪ বছর আগে বগুড়ার শিবগঞ্জের বিল হামলা এলাকার একটি চাতালে ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ওই চাতালে থাকা যন্ত্রপাতি লুটপাট করতে এ ঘটনা সংগঠিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ওই ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ ঘটনায় দীর্ঘ ২৪ বছর পর ছয়জনের যাবজ্জীবন ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আফজাল হোসেন তার ভাই জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল আলম, গোলজার রহমান, আছমা বেগম ও আলম ফকির। এরমধ্যে আছমা বেগম ও আলম ফকির পলাতক আছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে কাহালুর লক্ষীমণ্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট স্থানীয় পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামের এক কৃষককে মারধরে পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন৷ এরমধ্যে মামলা চলাকালে দুজন মারা যান।

দীর্ঘ ২৬ বছর পর এ মামলায় তসলিম উদ্দিনের (৭০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান রায় ঘোষণা করেন৷ দণ্ডপ্রাপ্ত পাওয়া তসলিম উদ্দিন কাহালুর লক্ষীমণ্ডপের মৃত তোরাব আলীর ছেলে।