স্পিকারের কাছে এসে পদত্যাগ করতে হয়’ মাঠে নয়,


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১০, ২০২২, ৫:৫২ অপরাহ্ণ / ৮২
স্পিকারের কাছে এসে পদত্যাগ করতে হয়’ মাঠে নয়,

নিজস্ব প্রতিবদেক:- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শুনলাম তাদের (বিএনপি) সাত জন এমপি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার আছে আপনি পদত্যাগ করতে পারেন।

কিন্তু সেটা মাঠে হয় না, স্পিকারের কাছে দিতে হয়। এখানেও রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি। সাড়ে ৩শ জনের মধ্যে ৭ জনের পদত্যাগে সরকারের কিছু যায় আসে না।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা জেলার তিন থানার আয়োজনে বিএনপি-জামায়েতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে জনসভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, দেশের মানুষকে আহ্বান জানাবো, এসব কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমরা দেশকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাই। ২০৪১-এ উন্নত দেশ গঠনের যে মহাপরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন সেটা বাস্তবায়নে কাজ করি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া বাসায় আছেন। তিনি কী করে জনসভায় যাবেন। বিএনপি বললো, সংবিধান মানি না, আইন মানি না, সরকার মানি না। খালেদা জিয়া নাকি জনসভায় যাবেই। গেছে খালেদা জিয়া? খালেদা জিয়া বাসায়ই আছে। এরমধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় বিএনপি শুধু মিথ্যাবাদীর দল নয়, এটি একটি ভাওতাবাজির দল। এরা জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি করে, দলের নেতাকর্মীর সঙ্গে ভাওতাবাজি করে। ওরা ভেবেছিল মিথ্যাচার করে, নেতাকর্মীদের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে নাশকতা করে সরকার ফেলে দেবে। আমরা বললাম, এটা জাতীয় পার্টির এরশাদের সরকার নয়, খালেদা জিয়ার সরকার নয়। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার, আওয়ামী লীগের সরকার। এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিতে এলে তাদেরই কপাল ফাটবে, মাথা ফাটবে, সেটা এখন বিএনপি নেতারা বুঝতে পারছেন।

হানিফ বলেন, কয়েকটা জনসভায় কিছু লোক দেখে তাদের হুঁশ চলে গেছে। কয়েকদিন আগে মাহফিলে কিছু বক্তা লাগামছাড়া কথা বলতেন। একটা ছিল শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি। লোকজন দেখে তিনি বললেন, সরকার মানি না, সংবিধান মানি না, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি মানি না। এরপর পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। এখন তিনি দেখছেন বিপদ। পুলিশের হাত-পা ধরে বলেন ভুল হয়ে গেছে। বলেন, মাহফিলে লোকজন দেখে জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছিলাম। বিএনপি নেতাদের এমন হয়েছিল। এমন অবস্থা ১০ তারিখের পর শেখ হাসিনার সরকার নেই! খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। বিএনপি নেতাদের আমি বলেছিলাম, জোশে বেহুঁশ হয়েন না। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানির মতো পুলিশের হাত-পা ধরা লাগবে। এখন তো দেখছেন গত দু’দিন ধরে হাত-পা ধরা লাগছে।

তিনি বলেন, এই দলের জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে বসে অবৈধভাবে দল করেছিলেন। দলের সৃষ্টি অবৈধ পথে। আপনার দলের নেতারা মিথ্যাচার করে দেশের লোকজন ও আপনাদের বিভ্রান্ত করে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। লন্ডনে বসে পলাতক দুর্নীতিবাজ খুনি তারেক রহমানের কথায় যে অন্যায় করেছিলেন, তার সাজা অনেকেই পাচ্ছেন। দয়া করে আর এ ভুল কইরেন না। পলাতক ফেরারি আসামির কথায় রাস্তায় নেচে নিজের জীবন নষ্ট করার দরকার নেই। অনেক আন্দোলন দেখেছে দেশের মানুষ। এখন বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন। যাতে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করতে পারেন। জনগণের পাশে দাঁড়ান। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হবে সেটায় অংশ নিন। জনগণ কার সঙ্গে আছে প্রমাণ করুন। দেখুন জনগণ কী চায়। দেশের জনগণ চায় উন্নয়ন অগ্রগতি শান্তি। যেটা শেখ হাসিনা পূরণ করতে পারেন। মানুষ তারেক রহমানকে চায় না।