সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে বৈদ্যুতিক তার চুরি , মোমবাতির আলোয় চলছে চিকিৎসা


প্রকাশের সময় : জুন ১৯, ২০২২, ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ / ৪১৮
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে বৈদ্যুতিক তার চুরি , মোমবাতির আলোয় চলছে চিকিৎসা

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রীয় সংযোগ ক্যাবল চুরি হওয়ায় পুরো হাসপাতাল এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। টিকেট কাউন্টার, চিকিৎসকের রুম, জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা চলছে মোমবাতি এবং মোবাইলের আলো দিয়ে।

অনেকটা হাসপাতালে বিরাজ করছে ভুতুরে অবস্থা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভৌগলিক কারণে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালটি এ অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ উপজেলা ছাড়াও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, রংপুরের তারাগঞ্জের রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এখানে । গত শুক্রবার রাত ৮ টার পর তার চুরি হয়ে যায়। এরপর থেকে পুরো হাসপাতাল অন্ধাকারে।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ৪ বছরের ছোট বাচ্চার ঠোঁটের অভ্যন্তরে কেটে গেলে তার সেলাই দেয়া হচ্ছে মোবাইলের আলো দিয়ে। বাচ্চাটি একে ঠোঁট কেটে গেছে, উপরন্ত প্রচন্ড গরমে খুব কষ্ট পাচ্ছে। জরুরী অপারেশন ও অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ আছে, শ্বাস কষ্ট রোগীদের জরুরী ন্যাবুলাইজার,অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কার হাত পা ভাঙ্গলে এক্স রে করা সম্ভব হচ্ছে না। এ রকম হাজারো সমস্যায় ভুগছে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের রোগিরা। এ অবস্থা বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষের যেন করার কিছুই নেই। জানা গেছে, এ হাসপাতালে প্রায় বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও চোর থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জানা গেছে যতবারই নতুন তার লাগানো হয়, ততবারই চুরি হয়।আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে রাতের বেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগিদের মোবাইল, নগদ টাকা চুরি যায় । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও মোহাইমিনুল ইসলাম হাসপাতালের কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন চুরির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক সার্ভিস তার চুরি হওয়ায় গতকাল রাত থেকে পুরো হাসপাতাল অন্ধকারে রয়েছে।

চুরির বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগকেও জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত বিদ্যুৎ সচল হবে। তবে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুরির বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে