সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে দু’টি দোকানঘর নোটিশ ছাড়াই ভাংচুর


প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০২২, ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ / ৪১৮
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে দু’টি দোকানঘর নোটিশ ছাড়াই ভাংচুর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে দু’টি দোকানঘর কোনো নোটিশ ছাড়াই ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের আইওডব্লিউ অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার বিরুদ্ধে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজারের নিকট এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নাদিম হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের উত্তর-পশ্চিম পাশে দু’টি বাণিজ্যিক লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে সেমি-পাকা ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল নাদিম। স্টেশন প্লাটফর্ম উন্নয়ন কাজে অপ্রয়োজনে নিজ পেশীশক্তি প্রয়োগ করে অন্য কারো ঘর না ভেঙে শুধু তার দোকানঘর দুইটি ভেঙে ফেলেন। এছাড়া দোকানের আসবাবপত্র ও মালামাল ভেঙে ফেলে নাদিমের দোকানের জায়গায় অন্য একটি ঘর উঠিয়ে দেন। অথচ দোকানঘর দুইটি ছিল নাদিমের একমাত্র উপার্জনের পথ। এতে চলমান করোনাকালীন সময়ে নাদিম তার পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বাধ্য হয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজ্জাকের বৈষম্যমূলক অন্যায় কাজের জন্য তার অপূরণীয় ক্ষতির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক পুনরায় লাইসেন্সকৃত জায়গা বুঝিয়ে দিতে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার বরাবর অভিযোগ করেন।

ব্যবসায়ী নাদিম হোসেন বলেন, ‘প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক পেশীশক্তি প্রয়োগ করে আমার দোকানঘর দুইটি ভেঙে ফেলেছে। আমি এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি। পুনরায় আমার লাইসেন্সকৃত জায়গা ফিরে চাই।’

এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘অভিযোগ পেলেই তো তদন্ত করা যাবে না। তদন্ত করা মানে আমাদের ম্যান পাওয়ার ওখানে ইনভেস্ট করতে হয়। আমাদের এমনিতেই লোকজনের ক্রাইসিস অবস্থা, রেল চালাইতে হিমশিম খাচ্ছি। যেনতেন অভিযোগের তদন্ত করে রেল তো বন্ধ করে দিতে পারি না।’

রিপোর্টার মহসিন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, গাইবান্ধা