সন্দেহের তালিকা থেকে বুশরাকে বাদ দেওয়া যায় না: ফারদিনের বাবা


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২২, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ / ৮৩
সন্দেহের তালিকা থেকে বুশরাকে বাদ দেওয়া যায় না: ফারদিনের বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ ‘হত্যা’র ঘটনায় সন্দেহের তালিকা থেকে বুশরাকে বাদ দিতে চাচ্ছেন না ফারদিনের বাবা। তিনি বলছেন, যত কিছুই বলা হোক- সন্দেহের তালিকা থেকে বুশরাকে বাদ দেওয়া যায় না।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে ছেলে হত্যার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন।

তিনি বলেন, বুশরা যদি সত্যিকারের অর্থেই ভালো বন্ধু কিংবা বান্ধবী হতো তাহলে পরীক্ষার আগের রাতে কোনোভাবেই আমার ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে না। তারা আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টার জন্য দেখা করতে পারতো।

এদিকে ফারদিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার আছেন আমাতুল্লাহ বুশরা। তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে বুশরাকে কারাগার রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফারদিন হত্যার সঙ্গে এখনো বুশরার কোনো সম্পৃক্ততা মেলেনি।

বুশরা পড়েন ঢাকার বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। তিনি ফারদিনের বান্ধবী ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তারাবোর দিকে যেতে দেখা গেছে ফারদিনকে। গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাদা গেঞ্জি পরা তিন-চারজন ফারদিনকে লেগুনায় উঠিয়ে নিয়ে তারাবোর দিকে যায়। লেগুনার চালক ও সহকারীকে খোঁজা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফারদিনের বাবাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেটা যে ফারদিন তা নিশ্চিত হতে পারছি না। বিচারাধীন বিষয় যুক্তিতর্কের জায়গাতে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ স্ট্যাবিলিসড করতে পারে না। আমার ছেলে রাত দুটায় মুভ করবে এটা হতেই পারে না। হয়তো হতে পারে এমন- কেউ তাকে ড্রিংক করিয়ে সেখানে নিয়ে গেছে।

আপনি আগে বলেছিলেন, বাসা থেকে ফারদিনের হলে ফেরার কথা ছিল। হলে যাওয়ার কথা বলেই ফারদিন বের হয়েছিলেন। কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে- ফারদিন হলে না ফিরে যাত্রাবাড়ীতে গেছেন। এর আগে তিনি এ রকম করেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফারদিনের বাবা বলেন, অতীতে এমন রেকর্ড নেই। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে বা জানিয়ে সব করে সে। নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত সে তার মাকে যা জানিয়েছে, সে অনুযায়ী চলতে দেখেছি। কিন্তু এখন ঠিক বুঝতে পারছি না সে আসলে কেন যাত্রাবাড়ী গিয়েছিল।

বিদেশ যাওয়া নিয়ে ফারদিন কোনো অবসাদে ভুগছিলেন কিনা জানতে চাইলে নূর উদ্দিন রানা বলেন, সে রকম কিছু নয়। আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই গল্প-উপন্যাস পড়ে বড় হয়েছে। বিদেশ যাওয়া হলো না বলে ভেঙে পড়ার মতো সে নয়। ওর চরিত্রের মধ্যে সেরকম কিছু নেই। হত্যার বিষয়ে ডিবি পুলিশ ও র্যাব জোর দিয়ে তদন্ত করছে। থানায় গিয়েছিলাম জিডি করার পর। যেহেতু সাসপেক্ট করা হচ্ছে। পরিকল্পিত কিনা সেটা বের করতে হলে সময় লাগতে পারে। সব বিষয়ে আমরা তো অনুমান করতে পারি না।

চনপাড়া বস্তিতে ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে না ডিবি। এমনটি জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।