শ্রীলঙ্কা বানানোর আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে: জোনায়েদ সাকি


প্রকাশের সময় : আগস্ট ৮, ২০২২, ৪:০০ পূর্বাহ্ণ / ৩৪৫
শ্রীলঙ্কা বানানোর আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত দেশকে আরও খারাপের দিকে নেবে। এই সরকার দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে, আইএমএফের দারস্থ হয়ে জনগণের জীবনকে ভয়াবহ একটা বিপজ্জনক খাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা হতে দেওয়া যায় না।

জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার দেশকে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে যাবে। তার আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও হারিকেনমিছিল কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ডিজেল-কেরোসিন-পেট্রল-অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আইএমএফ কোনো দেশকে ঋণ দেওয়া মানে সেই দেশের অবস্থা আরও খারাপ হওয়া। আইএমএফের প্রধান লক্ষ্য থাকে ঋণ পুনরুদ্ধারের নামে শর্ত চাপিয়ে দেওয়া। এতে গ্রহীতা দেশকে কৃষি-জ্বালানিসহ বড় খাতের ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হয়। দেখা গেছে, কুইক রেন্টালের নামে ক্যাপাসিটি চার্জে ৭০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং আরও দেওয়া হচ্ছে, অথচ সরকার সেখানে লাগাম টানছে না।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল নয় উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এটি সরকারের লুটপাটের নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফলাফল। সেই সঙ্গে সরকার বিদ্যুৎ খাতে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তেলের দাম ছয় মাস আগে বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম আবার কমে আসছে, সরকার তখন অস্বাভাবিকভাবে প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল। অথচ এই খাতে এত দিন তারা লাভ করেছে। সেই লভ্যাংশ সমন্বয় করলে ও সরকার যে জ্বালানি তেলের ওপর কর নেয়, সেটা আপাতত বন্ধ রাখলেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না।

গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ, মনির উদ্দিন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লা, সৈকত মল্লিক, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান প্রমুখ।