শোকের দিনে স্বজনদের কবরের পাশে প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৫, ২০২২, ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ / ৩৫৬
শোকের দিনে স্বজনদের কবরের পাশে প্রধানমন্ত্রী

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ঘাতকের বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারানো বাবার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকরা অন্য স্বজনদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বননী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এরপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-অধিদফতর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিন জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমানও নিহত হন।