শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নীতিমালা করছে ইউজিসি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ৮:১২ অপরাহ্ণ / ১২৭
শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নীতিমালা করছে ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক :- সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর অনুমোদন ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, সম্প্রতি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদ্যস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন ও ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ। কমিটিকে শিগগির এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি বিষয়ে ইউজিসি উল্লেখ করেছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে। এছাড়া ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এজন্য নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।

নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, অবকাঠামো ও কারিকুলাম চূড়ান্ত না করে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিমালা করা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও বলেন, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে শুরু করবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হলে দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি হবে। তারা বৈশ্বিক বাজার উপযোগী হিসেবেও গড়ে উঠবে।

সভায় কমিটির সদস্যরা জানান, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সংকট রয়েছে ও জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।