শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন পিপিপিতে


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ৬:২৫ অপরাহ্ণ / ৬৬
শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন পিপিপিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক :- ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) হবে। এ লক্ষ্যে ‘অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স অব থার্ড টার্মিনাল অ্যাট হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্প নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। অতিরিক্ত সচিব বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর ‘অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেনেন্স অব থার্ড টার্মিনাল অ্যাট হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের কাজ কে পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পিপিপির আওতায় এখন নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোম্পানি এখনো ঠিক হয়নি।

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়। খরচের বেশির ভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

শাহজালালে বর্তমানে দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুই টার্মিনালের আয়তন এক লাখ বর্গমিটার। তৃতীয় যে টার্মিনালটি হচ্ছে, সেটির আকার বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার হবে এর আয়তন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। প্রকল্প অনুমোদনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে। ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং—এই তিন প্রতিষ্ঠান মিলে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে।

আশা করা যাচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবরে উদ্বোধন করা হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে হচ্ছে এর নির্মাণ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫১ শতাংশের বেশি।