শরীয়তপুরে কনডম দিয়ে সাজসজ্জা: দায়ীদের শাস্তি চান মুক্তিযোদ্ধারা


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ৭:২৪ অপরাহ্ণ / ৮৮
শরীয়তপুরে কনডম দিয়ে সাজসজ্জা: দায়ীদের শাস্তি চান মুক্তিযোদ্ধারা

বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন বলেন, নাহলে সামনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:-  বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে সাজসজ্জায় বেলুনের পরিবর্তে কনডম ব্যবহার করায় দায়ীদের শাস্তি চেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

সোমবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দাবি তুলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড জাতির জন্য লজ্জার। অবিলম্বে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান খান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চাকরি থেকে অব্যাহতিসহ মূল  হোতাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এ ঘটনায় পুরো জাতিকে অপমান করা হয়েছে। তিনি এর বিচার দাবি করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন বলেন, নাহলে সামনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, আমির হোসেন খান, শামসুল হক চৌকিদার, মো. আলাউদ্দিন সরদার, আনোয়ার হোসেন, মো. জানে আলম।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিজয় দিবসের দিন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সৌন্দর্য বর্ধন ও সাজসজ্জার অংশ হিসেবে বেলুনের সঙ্গে সরকারি নিরাপদ কনডম ব্যবহার করা হয়। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে এবং সমালোচনা হয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) মো. মফিজুল ইসলামকে সভাপতি এবং আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দারকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) সৌমিত্র সরকার ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) কাজী শাহ মো. আব্দুল্লাহ। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন জমা পড়েনি।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে জরুরি বিভাগে ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. রেজাউল করিমকে সাময়িত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবাহান বলেন, “সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে সরকারি নিরাপদ কনডম ব্যবহার করার বিষয়টি প্রথমে আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। খবর পেয়ে সেগুলোকে অপসারণ করিয়েছি।

এরই মধ্যে একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডা. সোবহান।