লাইভ চলাকালে মারধরের ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি রাজশাহীতে


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ৪:৫৫ অপরাহ্ণ / ১৩৪
লাইভ চলাকালে মারধরের ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি রাজশাহীতে

রাজশাহী প্রতিনিধি:- রাজশাহীতে টেলিভিশনে লাইভ চলাকালে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকেরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী আদালত চত্বরের সামনে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন এ কর্মসূচি পালন করে। সমাবেশ থেকে মামলার সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, দুই আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ নীরব কেন?

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রাশেদ রিপন, স্থানীয় সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান প্রমুখ।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাজশাহীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা সন্ত্রাসীদের মতো। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। মাত্র দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। থানা-পুলিশের কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না। অভিযুক্ত বিএমডিএর কর্মকর্তা, কর্মচারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন যদি আসামিদের গ্রেপ্তার না করে, তাহলে তাঁরা রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।

৫ সেপ্টেম্বর সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয় থেকে টেলিভিশন লাইভ চলাকালে এটিএন নিউজের রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপারসন রুবেল ইসলামের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুর রশীদসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করেন বুলবুল হাবিব। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মধ্যে ১৪ দিনের মাথায় ওই মামলায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে বিএমডিএর ভান্ডাররক্ষক মো. জীবন ও গাড়িচালক আবদুস সবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা মামলার ২ ও ৭ নম্বর আসামি। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন। তবে এ মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তার না করায় সাংবাদিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সমাবেশে রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল বলেন, তাঁদের কাছে তথ্য আছে, পুলিশ বিএমডিএর হামলাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাঁদের জামিন না হওয়া পর্যন্ত দূরে সরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এতে পুলিশের ভারসাম্য ক্ষুণ্ন হচ্ছে। খুব দ্রুত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁরা চান সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু পুলিশ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। যত দিন পর্যন্ত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হবে, তত দিন পর্যন্ত সাংবাদিকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁরা আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন। দুজনকে তাঁরা ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছেন। অন্যরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবেন।