জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী:- বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এখনো সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে অনুমতি না মিললেও ওই মাঠে চলছে সমাবেশের প্রস্তুতি। শহরে করা হচ্ছে মাইকিং। পাড়া মহল্লা থেকে বাজার ঘাট সবখানেই লিফলেট বিতরণ করছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে অনুমতি না থাকায় সমাবেশের আগে নেতাকর্মীদের থাকার জন্য প্যান্ডেল তৈরির সময় তা ভেঙে নিতে বাধ্য করেছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে ১১ দফা দাবি আদায়ে সরকারের কাছে আলটিমেটাম দিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির অন্য বিভাগীয় সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে। তাই আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে চলে যান। রাজশাহীতেও পরিবহন ধর্মঘটের আশঙ্কায় নেতাকর্মীদের আগেই আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তাই নেতাকর্মীদের থাকার জন্য মাদরাসা ময়দানের বিপরীতে একটি ফাঁকা জায়গায় সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সেই প্যান্ডেল ভেঙে নিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। পরে শ্রমিকরা বাঁশ-খুঁটি তুলে নেন।
ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যক্তিগত সহকারী বিপ্লব তাদের প্যান্ডেল বানানোর কাজটি দিয়েছেন। সমাবেশের মাঠেও আরও তিনটি প্যান্ডেল করার কাজের অর্ডার পেয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ বাইরের প্যান্ডেলটি করতে দেয়নি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান জাগো বলেন, সমাবেশের অনুমতিই এখনো বিএনপি পায়নি। এর আগেই প্যান্ডেল করার কাজ শুরু করে দিয়েছে, তাই বাধা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা এবং গণসমাবেশের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘পুলিশ প্যান্ডেল ভাঙেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের খুব ভালোভাবেই কথা হচ্ছে। কোনো অসুবিধা নাই। পুলিশ আমাদের মাদরাসা ময়দানেই সমাবেশের অনুমতি দেবে।’
রাজশাহী নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার মো. আবদুর রকিব বলেন, ‘যে স্কুলের মাঠে বিএনপি সমাবেশ করবে বলছে, সেই স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। বুধবার পরীক্ষা হবে, বৃহস্পতিবার সকালেও একটা পরীক্ষা আছে। তাই এখনো সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বিএনপি ৩ ডিসেম্বর দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। এখন তারা বলছে, আগে থেকে মাঠ দিতে হবে। এটা হতে পারে না। মাঠটি একটি বিদ্যালয়ের। সেখানে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা চলাকালে তারা মাঠে এসে ঝামেলা করবে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আমি তা করতে দিতে পারি না।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিএনপি মাদরাসা মাঠই চায়। এখন অনুরোধের কারণে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা আছে। ১ ডিসেম্বর থেকে তারা মাঠ ব্যবহার করতে পারবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :- তাসলিম হাসান। অফিস :- ৩৩ তোপখানা রোড, মেহেরুবা প্লাজা,পল্টন,ঢাকা -1000। মোবাইল :- 019 12 420 228 । ইমেল :- ainerchokh03@gmail.com। ওয়েবসাইট :- www.ainerchokh.com। ওয়েবসাইট :-www.epaper.ainerchokh.com।
ই পেপার