নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রংপুর মহানগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডের মধ্য-মন্দিরায় ভুয়া প্রিজাইডিং অফিসার -কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
২৬ ডিসেম্বর বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে রংপুর মহানগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডের মধ্য মন্দিরায় ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সুলতান আহমেদ এর বাড়ি সংলগ্ন, মোঃ আকতার এর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয় সুত্র জানা গেছে, ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান আহমেদ এর ঘুড়ি মার্কা কে জিতিয়ে দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকার দাবী করেন অভিযুক্ত লালালটু ওরফে রানা। স্থানীয়দের আস্থা অর্জনে নির্বাচন কমিশনে কর্মরত "লালটু ইসলাম রানা" প্রিজাইডিং অফিসার নামের আইডি প্রদর্শন করার পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের লোগো খচিত প্যাড প্রদর্শন করেন ওই যুবক। যেই প্যাডে লেখাছিল, "বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যে কোন পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে পারেন, প্রিজাইডিং অফিসার"। উল্লেখিত ডকুমেন্ট দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করার এক পর্যায়ে, মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানাসহ সাংবাদিকদের খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয়রা আরও জানান, অভিযুক্ত লালটু ওরফে রানা, আমাদের এলাকার কাউন্সিলর পদপ্রার্থীসহ সাধারণ ভোটারদের ইভিএম ভোটিং সিস্টেম-কে একটি ভোট চুরির মেশিন হিসেবে আখ্যা দিয়ে, সে প্রার্থীদের নিকট অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তার দেহ তল্লাশি করে, এনআইডি কার্ড, ভুয়া প্রিজাইডিং অফিসার আইডি কার্ড, নির্বাচন কমিশনের লোগো খচিত প্যাড, কলম, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি বাটন মোবাইল ৪টি সীম ও একটি ব্যাগসহ নগদ ২৯৪০ টাকা জব্দ করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজ জানান, লালটু ইসলাম ওরফে রানা (৪২) ঝিনাইদহ জেলার, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৫নং কুমড়াবাড়ি ইউনিয়নের নগর বাতান বাজার এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালটু ওরফে রানা স্বীকার করেন, গতরাতে গাজীপুর থেকে ফাইভ ষ্টার ক্লাসিক পরিবহনে রংপুরে আসেন। এবং রংপুর মহানগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সুলতান আহমেদ-কে জিতিয়ে দেয়ার কথা বলে ৫লাখ টাকা দাবী করেন। অভিযুক্ত লালটু ওরফে রানা নির্বাচন কমিশনে কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রংপুর নির্বাচন কমিশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানায় আনা হবে, মামলার প্রক্রিয়া চলমান।
সম্পাদক ও প্রকাশক :- তাসলিম হাসান। অফিস :- ৩৩ তোপখানা রোড, মেহেরুবা প্লাজা,পল্টন,ঢাকা -1000। মোবাইল :- 019 12 420 228 । ইমেল :- ainerchokh03@gmail.com। ওয়েবসাইট :- www.ainerchokh.com। ওয়েবসাইট :-www.epaper.ainerchokh.com।
ই পেপার