নিজস্ব প্রতিবেদক:- সাজিয়ে গুছিয়ে সাবলীল ভাষায় ওয়াজ মাহফিলে আলোচনা করেন ইসলামি বক্তা আবরারুল হক আসিফ। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলায় অনেকের কাছেই তিনি জনপ্রিয়। তার আলোচনা ও চলাফেরা নিয়ে মাঝেমধ্যে সমালোচনাও হয় সামাজিক মাধ্যমে।
তবে, এই সমালোচনাকে আবরারুল হক আসিফ ইতিবাচকভাবেই নেন৷ তিনি বলেন, আমি যে অবস্থানে থেকে কাজ করি, সমালোচনা হওয়া খুব স্বাভাবিক। বাংলাদেশের এমন কোনো স্কলার নেই, যাকে নিয়ে সমালোচনা হয়নি। তাছাড়া একজন মানুষ সবার কাছে প্রিয় হতে পারে না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সবাই কিন্তু পছন্দ করতো না। অথচ, তার মত গুণসম্পন্ন মানুষ এই জগতে দ্বিতীয় জন জন্ম নেয়নি। সেখানে আমি তো খুব সাধারণ একজন মানুষ।
তরুণ এ আলোচক বলেন, আমাকে নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, তাদেরকে আমি ইতিবাচকভাবেই নেই। তাদের সমালোচনা যৌক্তিক হলে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করি। আর যদি হিংসার কারণে অযথা কেউ সমালোচনা করে, তাহলে তার বিষয়টি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দেই।আবরারুল হক আসিফ বলেন, আমি তো কাজ করছি সাধারণ মানুষের হেদায়েতের জন্য। বিশেষ করে আমি যেই ধাঁচে আলোচনা করি, যুবকরা আমার এই আলোচনা পছন্দ করে। আমি আমার আলোচনার মাধ্যমে যুবকদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারি।
তিনি বলেন, যেকোনো সমাজের যুবকরা হলো মূল চালিকাশক্তি। যুবকরা যদি পথ হারিয়ে ফেলে, নিজেদের কর্তব্য ভুলে যায়, তাহলে সে সমাজ খুব বেশি উন্নতি করতে পারে না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবকদের সংগঠন করেছিলেন সমাজ সংস্কারের জন্য। আমি কোনো সংগঠন করিনি। তবে, যুবকদের বিবেক জাগ্রত করার কাজ করছি। তাদেরকে পাপকাজ, অশ্লীলতার ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি।
আবরারুল হক আসিফ বলেন, আমার আলোচনার মাধ্যমে একজন যুবকের জীবনও যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে আমি সার্থক। আবরারুল হক আসিফ বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানার কাহালপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। পরিবারে মা-বাবা, দুই বোন আর আসিফ। আবরারুল হক আসিফ পড়াশোনা শুরু করেন স্কুলে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাসায় আসেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে তিনি মাস্টার্সে পরীক্ষা দেবেন।
আপনার মতামত লিখুন :