নতুন বাজেটে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতির চাপের কথা স্বীকার করেছেন ঠিকই। কমানোর কথাও বলেছেন। কিন্তু স্বস্তি দেওয়ার মতো কোনো পথ দেখাননি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর নিজের ছাতার নিচে সবাইকে সমানভাবে আশ্রয় দেননি, বরং ছাতাটা তুলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের হাতেই। নানাভাবে তাঁদের কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় শিল্পকে সংরক্ষণের যে নীতি তিনি নিয়েছিলেন, তা আরও জোরদার করেছেন। আবারও প্রণোদনার কথা বলেছেন। অর্থমন্ত্রীর আশা অনেকটা এ রকম—এই পথে বিনিয়োগ বাড়বে, তাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষ কাজ পাবে, আয় বাড়বে।
এতেই স্বস্তি ফিরবে মানুষের জীবনে। অনেকটা সেই পুরোনো আমলের বাতিল হওয়া উপচে পড়া তত্ত্বের মতো। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নতুন বাজেট অনেক বেশি ব্যবসায়ীবান্ধব হলেও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার বা জনবান্ধব ততটা হতে পারেনি।
বর্তমান বিশ্ব সংকট সরবরাহ থেকে তৈরি। আর মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সরবরাহ সংকট ও ব্যয়ের কারণে। সুতরাং চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সংকটের উত্তরণ কীভাবে হবে, তার ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রী দেননি। অন্যদিকে চাহিদা কমানো হলে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন, তার অর্জন নিয়েও সংশয় তৈরি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :